মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের গোয়ালদাহ বাওড়ে বিনোদন কেন্দ্র চায় এলাকাবাসী। বাওড়ের চারপাশে বাঁধ হলে, ডায়াবেটিস রোগীদের অন্তত হাটার ব্যবস্থার পাশাপাশি অবসর সময় কাটানোর ব্যবস্থা হবে এমনটাই দাবি তাদের। ৩০ বছর আগে বাওড়ের এই ১৯ একর ৮২ শতাংশ জমি উপজেলা প্রশাসন অধিগ্রহণ করেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মৎসজীবি সমিতি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করলেও নানান সমস্যার কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এলাকাবাসীর পাশাপাশি মৎসজীবিদের দীর্ঘদিনের দাবি, বাঁধ নির্মাণ, চলাচলের রাস্তা ও বসার সু-ব্যবস্থা করার। কিছুদিন আগে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর বাওড়টি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বাওড়টিকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাওড়ের চারিপাশের বাঁধ ভেঙে গেছে। পায়ে হেঁটে যাওয়ার কোন উপায় নেই। বাওড়ের চারিপাশ জরাজীর্ণ। বাওড়টিকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে ওই এলাকার মানুষ অনেকাংশে উপকৃত হবে।
গোয়ালদাহ মৎসজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরজিৎ বিশ্বাস বলেন, বাওড়ে বাঁধ না থাকায় আমরা মাছ চাষে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। বর্ষার সময় বাঁধ না থাকায় বাওড়ের মাছ বেরিয়ে যায়। বাইরের পঁচা পানি ঢুকে পানি ও কাদা নষ্ট হয়। বাওড়ের বাঁধ, চলাচলের রাস্তা ও বসার ব্যবস্থা করা হোক।
দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নবুয়ত আলী বলেন, গোয়ালদাহ বাওড়টি ৩ বছর অন্তর সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া হয়। বাওড়ের বাঁধটি দীর্ঘদিন যাবৎ জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি বসার ব্যবস্থা করা হলে ভাল হয়। জায়গাটি মিনি পার্কের উপযোগী। এখানে বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।
সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আরজান বাদশা বলেন, আমি জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালিন গোয়ালদাহ বাওড়টির অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করেছি। বিষয়টি এমপি মহোদয়কে অবহিত করি। তিনি কিছুদিন আগে সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। তিনি এখানে একটি বিনোদন কেন্দ্র ও ডায়াবেটিস রোগীদের হাটার সু-ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি চাই বাওড়টিতে একটি বিনোদন কেন্দ্র ও অবকাঠামো উন্নয়ন হোক।
দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, বাওড়টি সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রন হয়। ওখানে এলাকার লোকজন অবসর সময়ে বিনোদনের জন্য যাই। আমরাও চাচ্ছি সেখানে একটা বিনোদন কেন্দ্র করার৷ এ উপলক্ষে উন্নয়নের রুপকার ও মাগুরার গণ মানুষের নেতা এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর সাহেব বাওড়টি পরিদর্শক করেছেন। এবং সেখানে একটি বিনোদন কেন্দ্র করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই আলোকেই কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকাবাসীর দাবি পূরণ হবে বলে আশা রাখি।