মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুরে বোরো ধান রোপণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কৃষি প্রধান এই অঞ্চলে অর্থকরী ফসল হিসেবে বোরো ধানের চাষ বাড়লেও ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে সবাই রয়েছেন হতাশায়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হাড় কাপানো শীতের মধ্যে জমির কাদা পানিতে নেমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধানের চারা রোপণ করছেন চাষিরা। কেউ চারা রোপণ উপযোগি জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত। আবার কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন। কৃষকদের মঝে বিভিন্ন গল্প, গান আর হাসি ঠাট্টার মধ্য দিয়ে চলছে রোপণের কাজ। এ যেন বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে কৃষকদের এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৩’শ ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২০ হেক্টর জমিতে ধান রোপনের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৫০ হেক্টর ও উফসি ৭০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ হয়েছে। দিন যতই বাড়ছে বোরো ধান রোপণের জমি ততই বাড়ছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে চাষ হবে এমনটাই আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আকবর বিশ্বাস বলেন, রাতদিন পরিশ্রম করে আবাদ করি। চারা রোপণের পর থেকে নিয়মিত পরিচর্যাও করতে হয়। তেল-সার ও বীজের দাম বৃদ্ধিতে খরচ ও বেশি হচ্ছে। তারপরও যদি ন্যায্য দাম না পাই তাহলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাই সরকারের কাছে বোরো আবাদে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন তিনি। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে বর্গাচাষীদের ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘায় ২৫-৩০ মণ ধান হবে। দাম ভালো বেশি হলে সকল খরচ বাদ দিয়ে লাভ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা বলেন, বোরো ধান চাষে কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ ও সহোযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রণোদনার আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো ধানের উফসি ও হাইব্রীড জাতের বীজ, সার বিতরণ করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খুব দ্রুত জমি রোপণের কাজ শেষ হবে। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের আবাদ হবে।