মনিরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিবেদক-
আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে মাগুরার শালিখায় চলছে কেনাকাটার ধুম। রমজান মাসের ২৮ শে রমজান চলছে। ঈদ আসন্ন হওয়ায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঈদের নতুন জামা-কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন উপজেলা সদর আড়পাড়ার বিভিন্ন দোকান গুলোতে। এবং উপজেলার সীমাখালী,বুনাগাতী,সিংড়া বাজারে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে খুশি বিক্রেতারা। কেনাকাটা চলছে গভীর রাত পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার আড়পাড়া বাজারের অভি ফ্যাশন, অন্জলি গার্মেন্টস, সপ্নীল গার্মেন্টস, নিমাই পোশাক ঘর, সৌরভ গার্মেন্টস, লেবাস ফ্যাশন, শতখালী গার্মেন্টস এন্ড বস্ত্রলায় এবং সীমাখালী বাজারের একাধিক বিপণী বিতানগুলো ঘুরে দেখা যায়, কেউ কিনছেন পাঞ্জাবি-টুপি, কেউ থ্রী পিস, কেউ আবার শুধু শার্ট-প্যান্ট। তবে এছরের আকর্ষণীয় পোশাকের মধ্যে রয়েছে সাড়ারা, গারারা, নায়েরা সাথে বাহারী ডিজাইনের লেহীঙ্গা ও পাঞ্জাবি। যেখানে একটি থ্রি পিচের মূল্য হাকানো হচ্ছে ৮ শ থেকে ৪ হাজার টাকা এবং একটি পাঞ্জাবি ৬ শ থেকে ৩ হাজার টাকা। মূল্য একটু বেশি থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।
পোশাক কিনতে আসা রতন বিশ্বাস, সুমাইয়া খাতুন, ইমন ইসলামসহ কয়েক ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর কাপড়ের দাম অনেকটাই বেশি। তবে প্রয়োজনের তাগিদে নিজের ও পরিবারের জন্য কিছুটা বাধ্য হয়েই পাঞ্জাবি, থ্রি পিচ কিনতে হচ্ছে বলে জানান তারা। এমনি একজন ক্রেতা রাশিদা খাতুন তিনি বলেন, দ্রব্য মূল্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাপড়ের দাম তাই নিজের জন্য কিছু না কিনলেও ছেলে- মেয়েদের জন্য একটি সাড়ারা থ্রি পিচ ও পাঞ্জাবি কিনেছেন তিনি।
অপর একজন ক্রেতা সজিব হোসেন বলেন, ঈদের নিকটবর্তী সময়ে ভালো মানের কাপড়গুলো ফুরিয়ে যায় তাই ভালো মানের কাপড় পেতে এবার আগে থেকেই কিনতে চলে আসলাম। সম্প্রতি ঢাকার বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ফলে মফস্বলের দোকান গুলোতে কোনো প্রভাব পড়ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আড়পাড়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও পোশাক ঘরের স্বত্তাধিকারী নিমাই সাহা জানান, আমাদের এইখানে যারা কাপড় বিক্রয় করি তাদের অধিকাংশই বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের অনেক আগেই কাপড় ক্রয়ের কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছেন। ফলে মফস্বলের দোকান গুলোতে ঐ অগ্নিকাণ্ডের তেমন কোনো প্রভাব পড়েছেনা বলে জানান তিনি।
তবে এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করে আড়পাড়া বাজারের সপ্নীল ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী সৌরভ হোসেন বলেন, যারা কাপড় ক্রয় করতে পিছনে পড়েছেন তারা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক সরবরাহ করতে পারছেন না। ফলে বিকল্প মার্কেট থেকে বেশি পোষাক ক্রয় করে বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। পোশাক ঘরের পাশাপাশি জুতাপট্রির ভিড়গুলো ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ ব্রান্ডের জুতাগুলো ব্যাতীত ইন্ডিয়ান জুতাগুলো ইচ্ছে মতো দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্রেতারা বলছেন, নির্ধারিত দামেই জুতা-সেন্ডেল বিক্রি করছেন তারা।
Like this:
Like Loading...