দীর্ঘ ১৯ বছর পর ছাত্রদলের মাগুরার শালিখা উপজেলার সাতটি ইউনিট কমিটি ঘোষণা।গত বৃহস্পতিবার রাতে মাগুরা জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মোঃ বায়োজিদ ইসলামের সাক্ষরে শালিখা উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
উলেক্ষ্য গত ১২/২/২২ তারিখে জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মোঃ বায়োজিদ ইসলাম সাক্ষরে শালিখা উপজেলার সাতটি ইউনিট কমিটির আংশিক কমিটি প্রকাশ করা হয়।প্রকাশের কয়েক ঘন্টা পর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব তিতাস বিশ্বাস প্রকাশিত কমিটি সম্পর্কে অবগত নয় মর্মে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রদল প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উক্ত কমিটি স্থগিত করে।
উপজেরা ছাত্রদলের নেতারা জানান, এসব ইউনিটে সর্বশেষ ২০০৩ সালের দিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছিল। সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করতে ছয় মাস আগে পুরোনো সব কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন করে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যার অংশ হিসেবে স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করে ছাত্রদল। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক নেতা, উপজেলা ও জেলার নেতাদের নিয়ে এসব কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শালিখা উপজেলার সাতটি ইউনিট কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে মিস্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, কেউ কেউ দাবী করেন কমিটি একতরফা ভাবে হয়েছে।জানা যায়, সাতটি ইউনিট কমিটির বেশীরভাগ সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সুজায়েত হোসেন সজীবের অনুসারীরা পদায়িত হয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রদলের এক যুগ্ন আহবায়ক (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) বলেন, সাতটি ইউনিট কমিটি একতরফাভাবে করা হয়েছে। সাতটি ইউনিট কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে বেশীর ভাগ আহবায়কের অনুসারীরা পদ পেয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব তিতাস বিশ্বাস বলেন, নির্যাতিত,আর্দশ কর্মিরা আমার অনুসারী হওয়ায় সাতটির মধ্যে কোন ইউনিট কমিটিতে প্রত্যাশিত পদ পায়নি। আরও অভিযোগ করে বলেন, কমিটি একতরফা ভাবে হয়েছে আমার সাথে সমন্বয় করেনি। কমিটি আমার মনোনিত হয়নি।প্রতিটি ইউনিট কমিটিতে আহবায়কের অনুসারীরা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।আমি একতরফা কমিটির প্রতিবাদ জানাই, প্রয়োজনে পদত্যাগ করবো।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সুজায়েত হোসেন সজীব বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর পর কমিটি হওয়ায় নেতা কর্মিরা খুব উৎফুল্য ও আনোন্দিত।অভিযোগের বিষয়ে বলেন, সমন্বয় করেই কমিটি হয়েছে, এখন সে কেন অস্বীকার করছেন আমি জানি না।
মাগুরা জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মোঃ বায়োজিদ হোসেন অভিযোগের বিষয়ে বলেন, প্রথমে আহবায়ক, সদস্য সচিবের উপর কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা সমন্বয় করতে ব্যার্থ হলে জেলা দপ্তরে আসে। আমরা একটা কমিটি দিলে কয়েক ঘন্টা পর কেন্দ্র স্থগিত করে। এবার কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে তালিকা দিয়ে বলেছে তুমি সাক্ষর করে প্রকাশ কর, আমি সেটায় করেছি।