বিশেষ প্রতিবেদক (মহম্মদপুর) –
মহম্মদপুরে নিজেদের তৈরী বিশেষ খাঁচায় ফাঁদ পেতে মেছো বাঘ আটক করে এলাকাবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতে তৈরী বিশেষ খাঁচায় একটি মুরগী দিয়ে ফাঁদ পাতা হয়। পরে শনিবার মধ্যে রাতে ধরা পড়ে একটি মেছো বাঘ। ভোরে এলাকাবাসী টের পেয়ে বিরল মেছো বাঘটিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় অতঙ্কো ছড়িয়ে পড়েছে। বাঘটি দেখতে সকাল থেকে ভীর জমায় এলাকাবাসী। শনিবার সকালে উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের যশোবন্তপুর গ্রাম থেকে মেছো বাঘটি আটক করা হয়। ওই গ্রামের কলেজছাত্র মুস্তাফিজুরের তৈরী খাঁচায় ধরা পড়ে বাঘটি। সে ওই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারর্দী কলেজের অর্নাস পড়ুয়া ছাত্র। শনিবার দুপুরে সংবাদটি লেখা পর্যন্ত বাঘটি মহম্মদপুর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়। চিকিৎসা দিয়ে বাঘটি উদ্যানে অবমুক্ত করা হতে পারে। কলেজছাত্র মুস্তাফিজুর আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রায় প্রতিদিনই বাঘটি ওই এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে হাঁস মুরগী,ছাগল খেয়ে ফেলে। এলাকাবাসী মনে করে এটি বনবিড়ালের খাচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি বনবিড়াল ধরতে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে বিশেষ একটি খাঁচা তৈরী করি। খাঁচায় শুক্রবার রাতে একটি মুরগী দিয়ে ফাঁদ পেতে মেছো বাঘটি আটক করতে সক্ষম হই। তিনি আরো জানান, কোনো বন্যপ্রাণী একা থাকতে পারে না। ধারণা করা হচ্ছে ওই এলাকার আশপাশের মেছো বাঘটির সঙ্গী আছে। তাই মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মাঝারি আকারের বিড়াল গোত্রীয় এক ধরনের স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী এটি। তাই আইইউসিএন ২০০৮ সালে মেছো বাঘকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। মেছো বাঘ সাধারণত নদীর ধারে, পাহাড়ি ছড়া এবং জলাভূমিতে বাস করে। এদের গায়ে ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকার জন্য চিতাবাঘ বলেও ভুল করা হয়। সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাগুরা রেন্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপেন্দ্রনাথ সরকার জানান, মেছো বাঘটি উদ্ধার করে মহম্মদপুর প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে পরিক্ষা চলছে। উদ্ধর্তন করকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তাদের অনুমতি পেলে মেছো বাগটি অবমুক্ত করা হবে। তিনি আরও জানান, মেছো বাঘটির ওজন প্রায় দশ কেজি। এর বয়স আনুমানিক দুই বছর। পায়ের নখ ও মাথায় সামান্য আঘাত রয়েছে।