মাগুরানিউজ.কম:
মাগুরার মহম্মদপুরের কানুটিয়া গ্রামে দরিদ্র পরিবারের এক মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বল অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বোন রাশিদা বাদি হয়ে ৪ ধর্ষকের নামে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় নুরোল মোল্যা নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ শুক্রবার রাতে আটক করে। তাকে আজ শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শনিবার সকালে ধর্ষিতাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
মহম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই নুরুজ্জামান জানান, গত রোববার (২৩ আগষ্ট) রাতে কানুটিয়া গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণী প্রতিবেশির বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলো। পথিমধ্যে স্থানীয় টিক্কার ছেলে নাজিম (১৮), কালুর ছেলে আক্তার (৪০), বাদলের ছেলে নছিম (৩৫) এবং শওকতের ছেলে মফিজ (৪০) তার মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী চাপাতলা গ্রামের ইলিয়াসের বাড়ির পেছনে পুরাতনভিটা কাঠাল বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে আপোষ রফার চেষ্টা চালান গ্রাম্য মাতব্বররা। টানা ৪ দিনেও বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় শুক্রবার রাতে ধর্ষিতার বোন রাশিদা ৪ ধর্ষককে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৭। ধারা : ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী (২০০৩) এর ৯ (৩)।
ডাক্তারী পরীক্ষা ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ধর্ষিতাকে শনিবার দুপুরে মাগুরায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এদিকে প্রতবন্ধী তরুণী গণধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর ঘটনাকে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার নামে কালক্ষেপণ করায় নুরোল মোল্যা (৫০) নামের এক সালিশদারকে শুক্রবার রাতে পুলিশ আটক করে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার ওসি শেখ আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।