মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুরে এ বছর গান্ডারিয়া আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। লোকসান কমাতে অধিক লাভের আশায় আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা। উপজেলার গোয়ালদাহ, ঘসিয়াল, কাদিরপাড়া, আমলসার, ছাবিনগর, বিলনাথুর, বিলসোনাই, চরপাড়া, কচুবাড়িয়া, সোনাতুন্দীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আখ চাষ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং দাম ভালো পাওয়ায় আখ চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এই ফসল আবাদ করলে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে বাজারজাত করা সম্ভব। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। আখ ক্ষেতে সাথী ফসল চাষ করা যায়। চলতি বছর উপজেলায় ৬৩ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর জাতের আখ চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৮ হেক্টর বেশি৷ ফলন হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৬০ থেকে ৬৫ মেট্রিক টন। এঁটেল দো-আঁশ কিংবা বেলে দো-আঁশ প্রকৃতির মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী। চরাঞ্চলের মাটি আখ চাষের জন্য ভালো। নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় যে কোনও ফসল চাষাবাদের জন্য এখানের মাটি বেশ উপযোগী। এ উপজেলার অন্যান্য অঞ্চলেও আখ চাষ সম্ভব। কিন্তু প্রধান অন্তরায় চাষিদের সচেতনতার অভাব।
উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের চাষি রওশন মোল্লা বলেন, আখ আবাদে একটু পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। আখ চাষে অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা বলেন, আখ চাষ খুব লাভজনক। লাল পঁচা রোগ ছাড়া এ ফসলে তেমন জটিল রোগ নেই। বর্তমানে আমরা উপজেলায় চিবিয়ে খাওয়ার উপযোগী জাতের আখ চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছি। আখ চাষে সাথী ফসল হিসেবে সরিষা, মুলা ও মসুর চাষ করা যায়। এছাড়া কৃষকদের ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করছি।