মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের জোকা গ্রামে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দু-গোত্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে দেশীয় অস্ত্রসহ মোল্লা ও শেখ গোত্রের লোকজন এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, আরিফ মোল্লা (৪০), চঞ্চল মোল্লা (৩৫), নায়েব মোল্লা (৪০), মালা বেগম (৪০), মফিজ মোল্লা (২৫), সোহাগ মোল্লা (১৪), তারিকুল ইসলাম (২৫), সিজান (১৪), ওহিদুল মোল্লা (৪৫), সাহিদুল ইসলাম (৫০), আখির শেখ (৪২), আবু শেখ (২০), বিদ্যুৎ শেখ (৬০), রুস্তম শেখ (৬০), আদুল শেখ (৫০) ও ফাইজুর শেখ (৪৫)। আহতরা মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল ও শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় পিকুল মোল্লা, আবু বক্কর মোল্লা, বাবর আলী মোল্লা, নায়েব মোল্লা, হাফিজ মোল্লা, ফনে মোল্লা ও মনিরুল মোল্লার বাড়ি সহ উভয় পক্ষের ৮ টি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পুনরায় সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো এলাকা এখন পুরুষ শুন্য। এ ঘটনায় কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা করেনি।
সরেজমিনে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমার নদের তীরবর্তী সরকারি খাস জমি। দীর্ঘদিন ধরে এই জমি নিয়ে মোল্লা ও শেখ গোত্রের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ জমি মোল্লা ও শেখ উভয় পক্ষই তাদের বলে দাবি করে। সেই জমির গাছের আম পাড়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মোল্লা গোত্রের নেতৃত্ব দেন গয়েশপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তাছের জোয়ার্দার অপরদিকে শেখ গোত্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি আওয়াল শেখ।
আহত সেজান ও তার চাচা হাসেম মোল্লা জানায়, গ্রামের কুমার নদীর চরের আম গাছ থেকে একটি পাকা আম পাড়ার সময় আখের শেখ সেজানকে বাঁধা দেন। এ নিয়ে তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা শুরুর এক পর্যায় আখের ও তার সহযোগীরা তাদের বাড়িঘরে এসে হামলা চালায়। এ সময় ভাংচুর লুটপাট ও পরিবারের নারী পুরুষসহ অন্তত ১০ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা। আহতরা মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তারা।
অপর দিকে আহত আখের শেখ জানান, , চরের সরকারী জায়গার গাছের আম পাড়ার ঘটনায় নিষেধ করায় বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে সেজান তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে জখম করে। এ ঘটনার সুত্র ধরে দুই পক্ষের লোকেদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা হয়। এ সময় সংঘর্ষে তাদের পক্ষের ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ করেনি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।