মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুরে পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। দাম ভালো পাওয়ায় ও ঘূর্নিঝড় যাওয়াদের প্রভাবে চৈতালী ফসলের ক্ষতি পুুষিয়ে নিতে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছে অনেকেই। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পেঁয়াজের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হলেও এরই মধ্যে ক্ষতি পুঁষিয়ে নিয়েছে চাষিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে দলবেঁধে পেঁয়াজের চারা রোপণ করছে শ্রমিকেরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যম্ত চলে এ কাজ। পেঁয়াজের চারা রোপণে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই অল্প সময়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে চারা রোপণে অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। অপর দিকে চারাগুলো বাঁচিয়ে রাখতে রোপণের পরপরই প্রয়োজন পড়ে সেচের।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, গত বছর উপজেলার ৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছিল। এ বছর ৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমি পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমি পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এছাড়া প্রদর্শনী প্লটের আওতায় ৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। উপজেলায় বেশি চাষ হয়েছে উফসি জাতের লাল তীর কিং। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে বীজ তলার ব্যাপক ক্ষতি হলেও এরই মধ্যে কৃষক এ সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে কৃষক এ বছর পেঁয়াজের ভালো ফলন পাবে। এ অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
উপজেলার দরিবিলা গ্রামের পেঁয়াজ চাষি ফিরোজ মোল্যা বলেন, গত বছর পেঁয়াজের আশানুরূপ দাম পেয়েছি। এ বছরও পেঁয়াজের ভালো দাম পাবো এমনটাই আশা করছি। তবে পেঁয়াজ চাষে প্রচুর খরচ। দাম বেশি হলে লাভবান হবো।
উপজেলার চন্ডিখালি গ্রামের পেঁয়াজ চাষি ইমরান হোসেন বলেন, আমি প্রতি বছরই পেঁয়াজের চাষ করে আসছি। কোন বছর দাম ভালো পাই, আবার কোন বছর দাম কম পাই। গত বছর পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়েছি। এ বছরও ভালো দামের আশায় পেঁয়াজ চাষ আরো বাড়িয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা বলেন, পেঁয়াজ কৃষকদের অর্থকারী ফসলের মধ্যে অন্যতম। এ অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষে বেশ উপযোগী। কৃষি কর্মকর্তারা সবসময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। প্রনোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ এবং সার বিতরন করা হয়েছে। আশা করছি এ বছর ভালো ফলন ও দাম পাবেন কৃষকরা।