মহসিন মোল্যা , বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নে গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে আবারো সহিংসতা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। নতুন করে তিন জনের উপর হামলা হয়েছে। নৌকায় ভোট দিলেও হামলার শিকার হচ্ছি আবার আনারসে দিলেও তাই আমরা আওয়ামীলীগের সাধারন ভোটাররা যাবো কোথায়। এমনই কথা বললেন মাগুরা ২৫০ সয্যা হাসপাতালে ভর্তি থাকা ইব্রাহিম শিকদার।
গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নাকোল বাজারে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হুমাউনু্র রশিদ মুহিত এর সমর্থকেরা ইব্রাহিম শিকদার ও রুমান হোসেন পাপ্পুর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে স্থানীয় পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ইব্রাহিম শিকদার বলেন, নির্বাচনের একদিন পর ২৮ শে ডিসেম্বর নির্বাচিত চেয়ারম্যানমুহিতের সমর্থকরা বাজারে আমার ছোট ভাইয়ের মিষ্টির দোকান ভাঙচুর এবং বাড়িঘরে হামলা করে। আমার চাচা রহমান সিকদার সহ কয়েকজনকে আহত করে তারা। ৩০ ডিসেম্বর আমার ছোট ভাইয়ের ভাংচুরকৃত দোকান মেরামত করার জন্য এবং দোকান খুলে ব্যবসা করার জন্য আমি নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুহিতের নিকট অনুরোধ করি। তিনি ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য অনুমোদন দেন কোন সমস্যা হবেনা বলে জানান। মঙ্গলবার ০৪ জানুয়ারি দোকান খুলে পরিস্কার করে ব্যবসা শুরু করলে বিকাল চারটায় দিকে মুহিত চেয়ারম্যানের সমর্থক রায় নগর গ্রামের সোহাগসহ ২-৩ জন আমাদের দোকানের কর্মচারী আকাশকে কান ধরে হেনেস্ত করে এবং দোকানে কাজ করলে কান কেটে ফেলার হুমকি দেই।
এ ব্যাপারে আমি তৎক্ষণাৎ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবকে জানায়। চেয়ারম্যান সাহেব বললেন তুমি যাও আমি দেখছি বলে কাকে যেন ফোন দিলেন। আমি পরিষদ থেকে বের হয়ে ১০০ গজের মধ্যে থাকা অবস্থায় আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি তখন নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাসেদ সাহেব আমাকে উদ্ধার করে। এ হামলায় অংশগ্রহণ করে এরশাদ, মাসুদ ,সোহাগ ও মহব্বতের ছেলে সহ ২০ থেকে ৩০ জন।
কি কারণে ধরনের হামলা জানতে চাইলে ইব্রাহিম জানান, আমরা অত্যন্ত শান্তশিষ্ট ও নিরীহ প্রকৃতির জীবন যাপন করি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার পক্ষে নির্বাচন করাই আমাদের একমাত্র অপরাধ। এছাড়া আমাদের কোন অপরাধ নাই।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সুকদেব রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গত ২৮ ডিসেম্বর নাকোল বাজারে দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর এবং হামলার সাথে জড়িত এরকম ৫-৭ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করি। পরবর্তীতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হুমাউনু্র রশিদ মুহিত এসে ভবিষ্যতে কোন ধরনের সংঘর্ষ হবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে নেন। পুনরায় এ ধরনের সহিংসতায় আমরা বিব্রত। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।