আজ শুক্রবার, অক্টোবর ৪, ২০২৪ ইং
loading....
শিরোনাম:
- মাগুরায় জামায়াতে ইসলামীর রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- শালিখায় মোবাইল কোর্টে কারেন্ট জাল জব্দ, তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
- শ্রীপুরে বিএনপির বিশাল মিছিল ও সমাবেশ
- শালিখায় দশম গ্রেডের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধ ও স্বারকলিপি প্রদান
- আওয়ামী দুঃশাসনের প্রতিবাদে শ্রীপুরে বিএনপির বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
- ক্লাস না নিয়েও ১৩ বছর বেতন তুলেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রীর এপিএস শিশির সরকার
- শ্রীপুরে তালবীজ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন
- শ্রীপুরে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত
- শালিখায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত
- শ্রীপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত
মনিরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদক-
অবহেলা আর উদাসীনতার কারণে ধ্বংস হতে বসেছে মাগুরার শালিখা উপজেলার বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেড (বিটিসিএল) এর এক্সচেঞ্জ অফিস ভবনটি। বিরল ৫০০ লাইন ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ নাম দেয়া হলেও আসলে সংযোগ দেয়া আছে সবেমাত্র ৫৪টি, অফিসের চারপাশে ধানও চাষ হচ্ছে।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় সবকিছুর সেবার মান বৃদ্ধি পেলেও মানুষ বিরল ৫০০ লাইন ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ থেকে আশানুরুপ সেবা পাচ্ছে না। ফলে গ্রাহকরা প্রায় সকলে সেখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যে ৫৪টি টেলিফোনের সংযোগ দেয়া আছে সেগুলোরও ব্যবহার অতি নগন্য।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় , প্রবেশদ্বারের সামনে ঘাস জঙ্গলে ভবনটির অবহেলার নিদারুণ চিত্র। বিল্ডিংয়ের সামনে অনেক দিনের পুরাতন একটি সাইনবোর্ড ও গ্রিল গেটের সামনে ঝুলে আছে। অফিসের চারপাশের জায়গাতে ধান চাষ হচ্ছে। দায়িত্বে নিয়োজিত লাইনম্যান মোঃ মুনসুর আলী ও টিএ মোঃ আবু শামীম জানান, এই এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ৫৪টি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে সেগুলো তেমন ব্যবহার হয়না। অফিসের কক্ষের ভিতরে ময়লা আর্বজনার স্তুপ। অফিসের বিল্ডিং ফেটে গেছে, বিল্ডিংয়ের ছাদের ঢালাই খসে পড়ছে। অফিসের প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ছে। অফিসের চারিপাশের জঙ্গল পরিষ্কার করার জন্য অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে শ্রমিক চেয়েছি। কিন্তু কর্মকর্তারা শ্রমিক দেয়নি এখন আমরা নিজেই পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের অফিস পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে বাজারের আর্বজনা সরাসরি আমাদের অফিসের প্রাচীর টপকিয়ে ভিতরে ফেলছে। টেকনিশিয়ান মোঃ আবু শামীম আরো জানান, অবহেলার কারণে আমাদের অফিসের লাইনম্যান মোঃ মুনসুর আলী অফিসের ভিতরের চারপাশের জায়গাতে ধান রোপন করেছিল। ধান রোপন করতে খরচ হয়েছিল ৪৫ হাজার টাকা কিন্তু ধান পেয়েছিলাম ২৭ মণ।
অফিসের জায়গায় কি ধান রোপন করতে পারেন?
উত্তরে টেকনিশিয়ান আবু শামীম বলেন, কি করবো কোনো কাজ কাম নেই শুধু অফিসে বসে থাকতে হয়। তাই বসে না থেকে অফিসের খালি জায়গায় ধান রোপন করেছি। তিনি আরো জানান, কয়েক বার আমি উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। এখন বেতন পাই আর বসে থাকি। টুকটাক নিজের মতো নিজে কাজ করি। আমাদের অফিসে আমরা মাত্র দুইজন স্টাফ আছি। স্টাফের সংকটের কারণে অবহেলা আর উদাসীনতায় বিটিসিএল অফিস ধংসের পথে। আমরাও বিপাকে রয়েছি,মানুষ বিভিন্নরকম মন্তব্য করছে এই সমস্যার সমধান চাই।
টিএ আবু শামীম আরো জানান, সেবা ও প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এখান থেকে স্বল্প টাকায় ইন্টারনেট সেবা বা নতুন সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। জনগণকে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার জন্য এডিএসএল নামের নতুন একটি প্রযুক্তি আমাদের সংযুক্ত হয়েছে। কেউ নতুন সংযোগ চাইলে অনলাইনে নির্দিষ্ট সাইটে আবেদন করতে হবে। আমরা অনুমতি পেলে সাথে সাথে ওই লাইনটি সংযোগ দেওয়া হবে।