মনিরুল ইসলাম,বিশেষ প্রতিবেদক-
শালিখায় নিজস্ব অর্থায়নে ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলার ছয়ঘরিয়া কাজী পাড়া গ্রামের সৌকত হোসেন ও এলাকাবাসী৷ শনিবার ছয়ঘরিয়া আল আমিন প্লাউড মিল এলাকা থেকে ছয়ঘরিয়া কাজী পাড়া পর্যন্ত এই রাস্তার সংস্কার করা হয়। ছয়ঘরিয়া কাজী পাড়া থেকে স্থানীয় সীমাখালী বাজারে যাওয়ার একমাত্র চলাচলের অনুপযোগী এই রাস্তাটি প্রায় ৩০ বছর বেহাল দশার কারনে রাস্তাটিতে জনসাধারণের চলাচলের সম্পূর্ন অনুপযোগি হয়ে পড়ে ছিল৷ পরে গ্রামবাসী নিজ অর্থায়নে প্রায় ৩কিঃমিঃ রাস্তার মধ্যে ১ কিঃমিঃ রাস্তা ইট,বালু, রাভিস ও খোয়া দিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে রাস্তাটি সংস্কার করেছেন৷ আরো প্রায় ২ কিঃলিঃ মিঃ রাস্তা বেহাল দশা রয়েছে বলে এলাকার শরিফুল ইসলাম ও আব্দুল লতিপ মোল্যা সহ আরো অনেকেই জানান৷ তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকেই রাস্তাটি বেহাল দশা ছিল৷ যেখানে সামান্নতম বৃষ্টি হলেই হাটু সমান কাঁদাপানি ও গর্তে পরিনত হতো৷ যে কারনে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পুহাতে হয়েছে৷ তাই নিজ অর্থায়নে আমরা গ্রামবাসী রাস্তাটি সংস্কার করেছি৷ গ্রামের সৌকত হোসেন জানান,রাস্তাটির সংস্কারের জন্য আমরা জেলা পরিষদ,ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় এমপি মহোদয়কে বারবার অবগত করলেও কোন ফল পায়নি৷ শেষ পর্যায়ে আমি নগদ ১ লক্ষ টাকা ও গ্রাম বাসীর কাজ থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে রাস্তা সংস্কার করেছি৷
দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি চলাচল অনুপযোগী এই রাস্তাটি দিয়ে শত শত মানুষের চলাফেরার ভোগান্তি হচ্ছিল। এছাড়াও স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পুহাতে হতো৷ অন্যদিকে জটিল ও কঠিন রুগিদের কোলে করে প্রায় ৩ কিঃমিঃ পার করে পাকা রাস্তায় উঠতে হতো বলেও তিনি জানান ৷
এব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কাশেম মিনা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপর মহলে বারবার অবগত করেছি৷ কিন্তু আজ করবেন কাল করবেন বলে ঘুরিয়েই জাচ্ছেন৷
এব্যাপারে শতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন ঝন্টুর বক্তব্য নিতে গিয়ে না পেয়ে তার মুঠোফোনে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি৷
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সোয়েব মোহাম্মদ বলেন, উক্ত রাস্তার কোড নাম্বার যেনে তার পর বলতে পারবো যে কোন প্রকল্পে রাস্তাটি দেওয়া আছে কি না৷
Like this:
Like Loading...