মনিরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদক-
সারাদেশে মত শালিখায় চলছে বোরো ধান কাটার মৌসুম। তবে শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তার মাঝে চোখ রাঙ্গাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আশনি।
শ্রমিক সংকটে মাঠ ভরা ফসল কাটতে দুঃচিন্তায় দিন কাটছে অধিকাংশ কৃষকের। সপ্তাহে দুই দিন (শনি ও বুধবার) শ্রমিক ক্রয় করতে উপজেলা সদর আড়পাড়াতে এসে শ্রমিক ক্রয় করতে না পারায় অধিকাংশ কৃষক অনেকটা বাধ্য হয়ে নিজেদের ফসল ঘরে তুলতে কাচি হাতে নেমে পড়তে হচ্ছে নিজের জমিতে।
রোববার (৮মে)ও সোমবার (৯মে) শালিখা উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা মেলে এমন চিত্র। এছাড়াও শনিবার উপজেলা সদর আড়পাড়া শ্রমবাজারে গিয়ে দেখা যায় শ্রমিক প্রতি ১ হাজার থেকে ১৫ শো টাকা পর্যন্ত টাকা দেওয়ার শর্তেও যথাসংখ্যক শ্রমিক মিলছে না। ফলে অধিকাংশ কৃষকরাই শ্রমিকবিহীন কাচি ক্রয় করে রওনা করছেন বাড়ির দিকে।

এমনি একজন ভুক্তভোগী কৃষক শোয়াইবুর রহমান জানান, এ আবাদে ১০ বিঘা মত বোরো ধান চাষ করেছি কিন্তু ফসল কেটে ঘরে তোলার জন্য নায্য মূল্যে শ্রমিক না পাওয়ায় নিজেই কাচি হাতে ধান কাটা ও বাঁধা শুরু করেছি। তিনি আরোও জানান শনিবার আড়পাড়া হাটে গিয়ে শ্রমিক প্রতি ১২ শো টাকা দিয়েও শ্রমিক পায়নি। এছাড়া উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য রিপন লস্কর জানান আজ এক সপ্তাহ ধরে ধান কাটার জন্য শ্রমিক খুজছি কিন্তু পাচ্ছি না। এভাবে শ্রমিক সংকট পড়লে একদিকে যেমন কৃষকের ঘরে ধান তুলতে বিপাকে পড়তে হবে। অপর দিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মূখিনও হতে হবে। শ্রমিকদের শ্রম মূল্য বেশি হওয়ায় এবং তাদের সংখ্যা অপর্যাপ্ত থাকায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। শ্রমিকদের শ্রম মূল্য নির্ধারণ এবং তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট একটা কমিটি গঠন করে তদারকি করলে এ সমস্যা অনেকটা লাঘব হতে পারে বলে ধারনা করছেন তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, এ সময় শ্রমিক সংকট একটি চিরাচরিত বিষয় তবে প্রয়োজনীয় মুহুর্তে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদেরকে ধান কাটার জন্য হারভেস্টার মেশিন সরবরাহ করা হবে।
Like this:
Like Loading...