মনিরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদক-
আজ শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ ইং
loading....
শিরোনাম:
- শ্রীপুরের চর মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নির্বাচন সম্পন্ন
- শালিখায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- মাগুরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
- শ্রীপুরে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
- শ্রীপুরে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- মাগুরায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সনদপত্র, ভাতা ও যুব ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত
- শ্রীপুরের কাজলী কলেজিয়েট স্কুলে অফিস সহায়ক নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ
- শ্রীপুরে চুরির ঘটনায় হামলা, ভাঙচুর
- মাগুরায় জেলা পর্যায়ে সরকারি যাকাত ফান্ডে যাকাতের অর্থ সংগ্রহ ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
- শালিখায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় দুইজন গ্রেফতার
অকাল বর্ষার কারনে বোরো মৌসুমের ধান রোপনের কাজ এবছরে একটু দেরিতে হলেও চলতি সপ্তাহে শুরু করে দিয়েছে শালিখা উপজেলার গ্রামীণ ক্ষেতমজুরেরা। গত আমন মৌসুমের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষিরাও যেমন কোমর বেঁধে চাষ শুরু করছেন। তেমনি নতুন উদ্যমে বিপুল উৎসাহ নিয়ে মাঠে নেমেছেন গ্রামের সাধারণ ক্ষেতমজুরেরাও। চলতে পথে দেখা হলো উপজেলার দীঘলগ্রামের মাঠে একদল ক্ষেতমজুরের সাথে। রাস্তা থেকে কিছুটা দক্ষিনে চোখ গেলেই দেখা গেল বাহারী পোষাকে সজ্জিত ১০/১২ সদস্যের একটি দল ধানচারা রোপনের কাজে ব্যস্ত। তাদের মধ্যে একজনের গলায় গাওয়া গান শুনতে শুনতে এগিয়ে গেলে কথা হলো তাদের সাথে। তাদের দলনেতা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ‘দাদা, পরের আমরা ক্ষ্যাত খামারে কাজ করে খাই। আমাগের জীবনের শখ আহ্লাদ সব এই কাজের মদ্যিই। ভাল মন্দ পোষাক পরে ঘুরে বেড়ানোর সময় আমরা খুব কম পাই। তাই এবছর আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম এবার নতুন পোষাক পরে নতুন বছরের কাজ শুরু করবে। ব্যাস্ তাই হলো। আমরা বাহারী পোষাক পরে খুশিমনে কাজ করি আর খুশিতে গান গাই।’
উপজেলার সর্বত্র ঘুরে সমস্ত মাঠেই দেখা গেছে চাষের কাজে ভরপুর মৌসুম চলছে। সবার মনে একই কথা অকাল বর্ষার কারণে এ বছর বোরো চাষ বেশ দেরিহয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, উপজেলায় গতবছর (২০২০-২০২১) বোরো মৌসুমে ১৩৭০৬ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। এবার(২০২১-২০২২) অনুমানিক ১৫০০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হবে। তার মধ্যে উফশী ধান ১১৯০০ হেক্টর ও হাইব্রিড ধান ৩১০০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে।