ড্রাগন চাষে আগ্রহী মানুষের ভিড় বাড়ছে

মাগুরানিউজ.কম:

বিশেষ প্রতিবেদকঃ 

মাগুরা সদরের প্রত্যন্ত গ্রাম রাওতড়া এখন রিতিমতো দেশের ‘ড্রাগন ষ্টার’। দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা অগুনতি মানুষ আসেন ম্যাক্সিকান ফল ড্রাগন দেখতে। ‘মাগুরা নিউজ’ মাগুরায় উৎপাদিত এ ফলটি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারপর থেকেই মাগুরানিউজে প্রতিনিয়ত ফোন করে ড্রাগন ফল নিয়ে খোঁজখবর চলতে থাকে। মাগুরা অঞ্চলে এখন অতিথি আপ্যায়নে এখন নতুন আইটেম ‘ড্রাগন’ ফল।

এই ফল সুস্বাদু ও যথেষ্ট মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ ফল অন্য খাবার হজমে সহায়তা করে। দেহের কমনীয়তা আনায়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এ্যালোভেরার মত কার্যকর। ড্রাগন ফলের তৈরী জুস অতি তৃপ্তিদায়ক। এ ফল দিয়ে জ্যাম, জেলী ও আইসক্রীম তৈরী করা যায়। সালাদ হিসাবেও ড্রাগন ফল খেতে মজাদার।

রাওতড়া গ্রামে কয়েকজন কৃষক এ ফলের চাষ শুরু করেছেন। এ গ্রামের কৃষক শওকত হোসেন প্রথম ড্রাগন চাষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনেছেন। বেশি লাভজনক হওয়ায় ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এলাকার অনেক কৃষকরা।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই ফল ঢাকা, যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায়ও বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ড্রাগন ফল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এছাড়া চারা বিক্রি করেও উপার্জন করছেন শওকত।

দেশে নতুন এই ফল পুষ্টিগুণ ও স্বাদের জন্য খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলে আশা করছেন এসব কৃষকরা। ড্রাগন ফল চাষ করে যারা ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চান তাদেরকে সহযোগীতাও করতে চান এসব উদ্যোক্তা কৃষকেরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিপনন শাখা মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ববিদ আমিনুল ইসলাম জানান, সমন্বিত মানসম্মত প্রকল্পের আওতায় মাগুরায় ২০১৪ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক আবাদ শুরু করা হয়। এবং আবাদ সফল এবং এটি লাভজনক হওয়ায় সাম্প্রতিককালে মাগুরায় ড্রাগন ফলের আবাদকে স্থানীয় চাষিরা অধিক গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় ত্রিশটি ক্ষেতে এই ফলের আবাদ হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

March ২০২৩
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Feb    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  

ফেসবুকে আমরা

বিভাগ

দিনপঞ্জিকা

March ২০২৩
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Feb    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
%d bloggers like this: