বিশেষ প্রতিবেদক-
সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই শিশু সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত তিন ঘন্টা ব্যাপী তাদের মাগুরা জেলা সমাজ সেবা অফিস কার্যালয়ে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়। চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাফর মো: ওমর ফারুক জানান, মহামান্য হাই কোটের নির্দেশে তিনি জেলা সমাজসেবা অফিসারের কক্ষে শিশু দুটির দাদা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার উপস্থিতে শিশু দুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিত সুন্দর পরিবেশে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন
হয়েছে বলে দাবী করেন।
বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া জানান, তার দুই নাতী-নাতনী বাবুল আক্তার ও মিতু দম্পতির দুই সন্তান আক্তার মাহামুদ মাহিদ (১২) ও শিশু কন্যা তাবাসুম (৭) কে সকাল ১০ টায় জেলা সমাজ সেবা অফিসারের কার্যালয়ে আনা হয়। তার উপস্থিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সকাল ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ছোট বাচ্চাদের টানা তিন ঘন্টা জিজ্ঞাবাদ করা অমানবিক বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, তার সন্তান বাবুল আক্তার একজন সৎ, বলিষ্ট ও ন্যায়নিষ্ঠ পুলিশ অফিসার ছিলো। ৫ বার পিপিএম পদক পেয়েছে। তাকে ষড়যন্ত্র করে এ মামলায় ফাসানো হয়েছে। তিনি মামালার ন্যায় বিচারের স্বার্থে মূল অভিযুক্ত মুসাকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান। মুসা গ্রেপ্তার হলেই মামলার মূল রহস্য উদঘাটন হবে বলে তিনি দাবী করেন। জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আশাদুল ইসলাম জানান, তিনি মহামান্য হাইকোর্টের নিদের্শনা পালন করেছেন। সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও প্রয়াত মাহমুদা আক্তার মিতু দম্পত্তির দুই শিশু সন্তানকে কোর্টের আদেশে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সকলের সামনে হাজির করে সাক্ষ্য গ্রহনের ব্যবস্থা করেছেন। সব কিছু সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তারা শিশু দু’টির মনস্তাত্বিক
অবস্থা বিবেচনায় রেখেই তাদের সাথে সময় নিয়ে কথা বলেছেন। একটানা নয়।