পর্যটনে অপার সম্ভাবনাময় স্থান হতে পারে মাগুরার ঐতিহাসিক স্থাপনা ‘ভাতের ভিটা’। তেমনটাই প্রত্যাশার কথা জানালেন ‘মাগুরানিউজ’ সম্পাদক এ্যাড. রাজীব মিত্র জয়।
এ্যাড. জয় বলেন, দেশব্যাপি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সবার জন্য ভ্রমনের অন্যতম স্থান হতে পারে মাগুরার ঐতিহাসিক এই স্থাপনা। তিনি ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি ভ্রমনে প্রতিটি মাগুরাবাসীর প্রতি আবেদন জানিয়েছেন, পাশাপাশি অপরকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে স্থানটিকে দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট হিসাবে পরিচিত করতে মাগুরাকে সহযোগিতা করার আহবানও জানিয়েছেন।
মাগুরা সদর উপজেলার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত বেয়ে ফটকী নদীর উত্তর তীরবর্তী এক পল্লীগ্রাম টিলা। স্থানীয়ভাবে পূণ্যস্থান হিসেবে সমাদৃত ‘ভাতের ভিটা’ মাগুরা জেলা শহর হতে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে মঘি ইউনিয়নে এই টিলা গ্রামে অবস্থিত।
প্রচলিত তথ্যে জানা যায়, কোন এক অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী দরবেশ নিশিকালে এপথে ভ্রমণের সময় এখানে এসে মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। নির্মাণ কাজে নিয়োজিতদের জন্য ভাতরাধা যখন শেষ নির্মাণ কাজ তখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যে ভোরের নকীব পাখ-পাখালীর কূঞ্জনে মুখরিত হয়ে ওঠে রাতের নিস্তব্ধতা। নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে দরবেশ চলে যান। পথিমধ্যে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারিতে যেয়ে রাত শেষ হয়নি দেখে সেখানে মসজিদ নির্মাণ শুরু করে ফজরের নামাজ আদায় করেন। রাত শেষে লোকজন দেখতে পায় অসমাপ্ত মসজিদ, রান্না করা ভাত আর ভাতের ফ্যান গড়িয়ে পাশে পুকুরের মত তৈরী হয়েছে। সেই থেকে উঁচু টিলার নাম হয় ভাতের ভিটা। যেখানে ফ্যান গড়িয়ে পুকুরের মত হয়েছে তার নাম দেয়া হয় ফ্যানঘালী।
সরকারীভাবে পুরাকীর্তি সংরক্ষণের কাযর্ক্রম গ্রহণ করা হয়। প্রত্মতত্ত্ব বিভাগ এখানে খননকার্য শুরু করে। খননকার্যের ফলে এখানে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের স্থাপত্যশৈলীর অনুরূপ অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রায়তঃ বহুকক্ষ বিশিষ্ট ইমারতের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়।
‘ভাতের ভিটা’ এর ধ্বংসাবশেষ দেখে এবং ঐতিহাসিক ও ভৌগলিক তথ্য প্রমাণাদি বিশ্লেষণে অনুমান করা হয় এখানে মোর্য্য সাম্রাজ্যের সময়কাল খ্রীঃ পূঃ তৃতীয় শতাব্দী থেকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়কাল পযর্ন্ত এই কাল পরিসরে এখানে একটি বৌদ্ধ সংঘ্যারাম প্রতিষ্ঠিত ছিল।