বিশেষ প্রতিবেদক (মহম্মদপুর)-
মহম্মদপুর পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। পেয়াঁজ চাষে লাভবান হওয়ায় এবার অধিক পরিমাণে গুরুত্ব দিয়ে পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত মহম্মদপুর উপজেলার আট ইউনিয়নের চাষীরা। তবে দেশীয় পেয়াজ এর চেয়ে হাইব্রিড জাতের লাল তীর কিং পেঁয়াজ বেশী লাগানো হচ্ছে। চাষীরা বলছেন অল্প খরছে ভালো ফলন হয় এই জাতে।
তবে এ মৌশুমে দুদফা বৃষ্টিতে পিয়াজের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এতে পিয়াজের চারা কিছুটা সঙ্কট হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
গত মৌসুমের শেষ দিকে এসে পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়েছেন চাষিরা। এছাড়া এবার পেঁয়াজ বীজের দাম গত মৌসুমের তুলনায় অনেক বেশি। তারপরও পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন চাষিরা।
মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় গত বছর ১৮ শ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২ শ হেক্টর বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হবে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হবে। এ উপজেলায় লাল তীর কিং, লাল তীর কিং হাইব্রিড, তাহেরপুরী, বারি-১সহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ রোপণ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা তীব্র শীত উপেক্ষা করে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যে কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকরা অতিরিক্ত মূল্যে শ্রমিক সংগ্রহ করে দ্রুত রোপণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
পেঁয়াজ রোপণকারী জিবলু মোল্লা, মজনু মোল্লা,সুমন মোল্লা, মিরাজ,রতন মোল্লা বলেন, উপজেলার চালিমিয়া, হরিনাডাঙ্গা, দাতিয়াদাহ, বিনোদপুরের ঘুল্লিয়া, চৌবাড়িয়া, দীঘার নাগড়া, পাল্লা প্রতিটি গ্রামের মাঠেই চলছে পেঁয়াজ চারা রোপণের ধুম। প্রতিদিন ভোর থেকেই পেঁয়াজের চারা উত্তোলনের পর জমিতে রোপণ করা হয়। প্রতিজন প্রতি পাঁচ শ টাকা থেকে ছয় শ টাকা করে কাজ করা হচ্ছে। তবে একযোগে কাজ শুরু হওয়ায় শ্রমিকের চাহিদা বেশি থাকায় দাম একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজ রোপণ সম্পন্ন হবে।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দাস বলেন, আমরা ক্ষেতে গিয়ে নিয়মিত কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি। পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ার কারণে কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন।
এক কেজি দানার পেঁয়াজ চারা ১৬-১৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হলেও কৃষকরা জমি খালি না রেখে পেঁয়াজের চারা রোপণের চেষ্টা করছেন। আগামী মাসের মধ্যে এ অঞ্চলে পেঁয়াজ রোপণ শেষ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুস সোবহান বলেন, পেঁয়াজের চারা রোপণ পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকার কারণে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পেঁয়াজের চাষ হবে।