বিশেষ প্রতিবেদক-
সংবাদ প্রকাশের পর মহম্মদপুর উপজেলা শহর সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামটি উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সংস্কার করালেন মহম্মদপুরের ইউএনও রামাননন্দ পাল। এক বছরের অধিক সময় ধরে ষ্টেডিয়ামটি কাঁদা-মাটি ও জলাবদ্ধতা থাকায়খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মাঠের রক্ষণা-বেক্ষণে থাকা কর্তৃপক্ষের কোন সুদৃষ্টি ছিলনা এখানে। অল্প বৃষ্টিতেই মাঠে অথৈ পানিতে তলিয়ে থাকতো।
ষ্টেডিয়ামের এই দুরাবস্থা নিয়ে মাগুরা নিউজ এবং জাতীয় দৈনিকে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর টনক নড়ে ষ্টেডিয়ামের রক্ষণা-বেক্ষণে থাকা কর্তৃপক্ষের। তারপর থেকেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে বালু ও মাটি ভরাট করে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু কার হয়। সংস্কার কাজ প্রায় শেষের পথে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজসহ যাবতীয় অনুষ্ঠান শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল।
সম্প্রতি ঘুর্ণিঝড় যাওয়াদের প্রভাবে কয়েক দিনের ভারি বষণে ষ্টেডিয়ামটি তলিয়ে গেলেও এই সমস্যা দীর্ঘ ছিল দিনের। সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু পানি জমে থাকতো এখানে। ২০১৭ সালে এই ফুটবল মাঠটিকে ১ কোট ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে উন্নীত করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে মাঠের দুরাবস্থার জন্য অনুশীলন করতে না পারায় নতুন খেলোয়াড় তৈরীতে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় অনুশীলণকারী ও সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি ইউএনও’র উদ্যোগে মাঠটি সংস্কার করে অনুশীলনের উপযোগী করায় প্রশংসিত হয়েছেন ইউএনওসহ ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ঠরা।
সরজমিনে গতকাল সোমবার বিকালে শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম পরিদর্শনে দেখা গেছে, পানি নিষ্কাশনের পর বালু ও মাটি ফেলে মাঠটি সংস্কার করা হচ্ছে। সংস্কার কাজ প্রায় শেষের পথে। সকালে ষ্টেডিয়ামটি পরিদর্শণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল, সহকারী কমিশনার ভূমি দবির উদ্দীন ও ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান মিলনসহ সংশ্লিষ্ঠরা।
মহম্মদপুর আছাদুজ্জামান ফুটবল একাডেমির ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান সুজন বলেন, প্রায় এক বছর ধরে মাঠে পানি জমে থাকায় অনুশীলণ বন্ধ ছিল। মাঠটি সংস্কার করায় এখন অনুশীলনের উপযোগি হয়েছে। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের পর আমরা নিয়মিত অনুশীলন শুরু করবো।
মহম্মদপুর খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি ঈদুল শেখ বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি ক্রমাগত নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। ইউএনও’র নিজ উদ্যোগে মাঠটি সংস্কার করায় আমার অভিনন্দন জানায় ইউএনও স্যার কে।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আহবায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ষ্টেডিয়ামটি দৃষ্টি নন্দন করতে জেলা প্রশাসক স্যারের মাধ্যমে বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।