বিশেষ প্রতিবেদক (মহম্মদপুর)-
মহম্মদপুর উপজেলার চার ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্রগুলোতে করোনাভাইরাসের গণটিকা কার্যক্রমে টিকা নিতে এসে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতি কেন্দ্রে দিনে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও একেক কেন্দ্রে তিন হাজার মত লোক উপস্থিত হয়েছে। আগামী কাল আরও চার ইউনিয়নে প্রথম ডোজ টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। উপচে পড়া ভিড় আর অব্যবস্থাপনার কারণে একদিকে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি, অপরদিকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও অনেকে টিকা নিতে পারছেন না।
প্রথম দিন প্রায় ২ হাজার ৪’শ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রতি কেন্দ্রে দিনে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অথচ কেন্দ্র গুলোতে গণ হারে টিকা দেওয়া হবে বলে মাইকিং করা হয়েছে। এতে এক সঙ্গে টিকা কেন্দ্রগুলোতে অনেক মানুষ ভিড় করায় অপেক্ষাকৃত বয়স্করা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। অনেক কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা লোকজন লাইনে দাড়িয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার বাবুখালী, দীঘা, বিনোদপুর ও মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নে টিকাদান কেন্দ্র ঘুরে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গছে।
সকালে বাবুখালী আফতাব উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় টিকা দান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, টিকা দিতে ওই কেন্দ্রের সামনে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছেন। টিকা কেন্দ্রে ভিতরে এক সঙ্গে এতো মানুষের প্রবেশ করায় স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। বাবুখালী কেন্দ্রে সকাল ৯টায় টিকা নিতে আসা সরোয়ার মোল্যা (৬০) জানান, সকাল ৯টা থেকে অপেক্ষা করছেন কেন্দ্রে। লাইনে দাড়ানো লোকজনের মধ্যে হঠাৎ হট্টগোল বেধে যায়। কিছু সময় টিকা দেওয়া বন্ধ রেখে পরে আবার শুরু হয়েছে।
দাতিয়াদাহ গ্রামের নাসিম খান বলেন, ‘কেন্দ্রের ভিতরে যে ভিড় তাতে করোনা মুক্তির জন্য টিকা নিতে আসলাম নাকি করোনা সঙ্গে করে নিতে আসলাম ঠিক বুঝতে পারছি না।’ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোকছেদুল মোমিন বলেন, ‘একসঙ্গে অনেক মানুষ সমবেত হয়ে যাওয়ার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৬০০ জনকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সারাদিন টিকা দেওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এক সঙ্গে অনেকে ভিড় করছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে টিকাদান কেন্দ্র রাখা হয়েছে।