মাগুরানিউজ.কমঃ বিশেষ প্রতিবেদক –
কয়েকদিনের চলমান আতংক কাটিয়ে আবারও ছন্দে ফিরেছে মাগুরা। নেমে এসেছে স্বস্তি। ঘূর্ণিঝড় ফণিকে কেন্দ্র করে জনমনে সৃষ্ট আতঙ্ক কাটিয়ে জীবনযাত্রা এখন স্বাভাবিক।
ঘূর্ণিঝড় ফণিকে কেন্দ্র করে জনমনে ব্যাপক সৃষ্ট আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক ভাবে মিডিয়াতে সার্বক্ষনিক ফণির গতিবিধি জানানো হয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসাবে ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। ফণির ভয়ে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুইদিন রাস্তাঘাটে লোক চলাচল কমে ব্যাপক হারে কমে যায়। মাঠে থাকা পাকা ধান নিয়ে চিন্তিত কৃষকেরা। কয়েকদিন আলোচনার প্রধান বিষয়ই ছিলো ফণি। তবে শেষ পর্যন্ত মাগুরাতে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বিক্ষিপ্ত ঝড়ো বাতাসেই সিমাবদ্ধ থাকে আলোচিত ঘূর্ণিঝড় ফণি।
এদিকে ফণি’র প্রভাবে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে উঠতি বোরো ধানের। অনেক স্থানেই ঝড়ো বাতাসে নুয়ে পড়েছে ক্ষেতের পাকা ধান গাছ। জেলার মঘি, আঠারখাদা,আমুড়িয়া, জগদল, বুনগাতি, রাঘবদাইড় গ্রামগুলোতে পাকা ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আম ও লিচু চাষিরা কিছুটা শঙ্কায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তেমন ক্ষয়ক্ষতি চোখে পড়েনি।
শক্তিপুর গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে বৃষ্টি ও বাতাসে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হযেছে। অনেক স্থানে আধাপাকা ধানক্ষেতে পানি জমে গেছে।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, মাঠে পাকা বোরোর ফসল নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। অনেকের ধান এখনো মাঠেই আছে। বাতাসে ধানের গাছ নুয়ে পড়ায় তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ বছর জেলায় বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল ৩৯ হাজার ৯ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।