মাগুরানিউজ.কমঃ
মানুষের ভাষায় তোতা পাখির কথা বলা হয়তো অনেকে শুনেছেন। কিন্তু ‘বহু ভাষাবিদ হয়ে ওঠা’ পাখির দেখা কয়জনই বা পেয়েছেন! এমন একটি তোতা পাখির গল্প শুনলে অনেকে বিস্মিত হবেন নিশ্চয়।
ব্রিটেনের এক ব্যক্তি আদরে-যত্নে পোষেণ একটি তোতা পাখি। অনেক পরিশ্রম করে সেটিকে ইংরেজি বলা শেখান। এরপর অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলতে পারত পাখিটি।
হঠাৎ একদিন হারিয়ে যায় তার প্রিয় তোতা পাখি। অনেক খোঁজ-খবর করেও তার সন্ধান মেলেনি। তোতাটি ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
চার বছর কেটে গেছে এভাবে। অবশেষে তিন দিন আগে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পাখিটি উদ্ধার করেন তার মালিক। পুরোনো প্রভূকে সে ঠিকই চিনেছে। কিন্তু তার ভাষা আর ইংরেজি নেই।
কিছু সময় ধরে পর্যবেক্ষণের পর পাখিটির মালিক বুঝতে পারলেন তার আদুরে তোতা স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলছে। ইংরেজি ভুলে গেছে একেবারে। শুধু স্পানিশে ভাষা আওড়ে যাচ্ছে অনর্গল।
ড্যারেন চিক নামক একজন ব্রিটিশ এই আফ্রিকান গ্রে তোতাপাখির মালিক। তিনি বলেন, চার বছর ধরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ‘নাইজেল’-কে পাওয়া যায়নি। হঠাৎ ফিরে পেয়েছি একে। কিন্তু তার ভাষা পাল্টে গেছে।
উল্লেখ্য, পোষা তোতা পাখিটিকে নাইজেল নামে ডাকত তার মালিক ড্যারেন চিক।
ক্যালিফোর্নিয়ার একজন প্রযুক্তিবিদ টেরেসা মিকের কাছ থেকে নাইজেলকে উদ্ধার করেন ড্যারেন চিক। গত ফেব্রুয়ারিতে হারিয়ে যাওয়া একটি পোষা পাখির সন্ধান করতে গিয়ে নাইজেলকে পান টেরেসা। পরে ঘটনাক্রমে ড্যারেন চিকের কথা জানতে পারেন তিনি এবং প্রকৃত মালিকের কাছে নাইজেলকে ফিরিয়ে দেন। তথ্যসূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট ও ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইন।