ট্রাইব্রেকারে ডাচদের উড়িয়ে দুই যুগ পর বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকেট পেয়েছে আলেজান্দ্রো সাবেলা’র দল আর্জেন্টিনা। এতে বেশ খুশি সাবেলা ও তার শিষ্যরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো দলই গোলের দেখা না পাওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়েও ফলাফল দাঁড়ায় গোল শূন্য ড্র-য়ে।
এরপর পেনাল্টিতে নেদারল্যান্ডসকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে মেসিদের দল দ্য আলবিসেলেস্তি (আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের ডাকনাম)।
রোববার বাংলাদেশ সময় ১টায় রিও ডি জেনেরিও-এর মারকানা স্টেডিয়ামে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ব্রাজিল বিশ্বকাপ-২০১৪ পেলো দুই ফাইনালিস্ট দলকে।
অবাক করা বিষয় হলো আর্জেন্টিনা শেষবার ফাইনালে খেলেছে ১৯৯০ সালে। সেবার তাদের প্রতিপক্ষ ছিলো এই জার্মাননা (ওই সময়কার পশ্চিম জার্মান)। ঠিক ২৪ বছর পরে আবারো ফাইনালে গেল আর্জেন্টিনা, খেলবে সেই জার্মানদের বিপক্ষে।
যদিও সেবার জার্মানদের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিলো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। তবে এর আগের (১৯৮৬) বিশ্বকাপে জার্মানদের ৩-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা।
এবার ২০১৪ বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে আবারো মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এ দু’দল। ১৯৮৬ ও ৯০ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন দলে ছিলো ম্যারাডোনা, আর ২০১৪ এর ফাইনালে মেসি তাদের মূল ভরসা।
অন্যদিকে সেমিতে স্বাগতিকদের লজ্জায় ডুবিয়ে ৭-১ গোলে জয় নিয়ে দারুন উজ্জিবীত জার্মানরা। ১৯৯০ সালের পর ২০০২ এ ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনাল খেললেও শিরোপার স্বাদ পায়নি তারা। ওই ম্যাচে জার্মানরা ০-২ গোলে হেরেছিলো ব্রাজিলের কাছে।
১৯৯০ সালের পরে আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পেরিয়ে সামনে এগুতে পারে নি। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাজিত হওয়া ছাড়াও ২০০৬ ও ২০১০ সালে জার্মানির কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়ে। এজন্য আর্জেন্টাইনদের কাছে ১৩ জুলাইয়ের মারাকানার ফাইনাল হবে প্রতিশোধের ম্যাচ।
ইতিহাস বলে জার্মানরাও ছেড়ে দেওয়ার দল নয়। তারাও ১৯৮৬ বিশ্বকাপে হারের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া। জার্মানি এ পর্যন্ত ফইনাল খেলেছে সাতবার। এরমধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৩টিতে এবং রানারসআপ হয়েছে ৪টিতে।
১৩ জুলাই ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওর মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনালে জার্মানদের মুখোমুখি আর্জেন্টিনা।