মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের মাটি কাটা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যসহ ১০ জনের নামে বাবুল মোল্যা বাদী হয়ে মাগুরা বিজ্ঞ আদালতে বৃহস্পতিবার একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং সিআর ২১০/২২।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার মাটিকাটা মেসার্স খাঁন ট্রেডার্সের নকল সার ও কিটনাশক ব্যবহারে কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কমলাপুর, ঘাসিয়াড়া, মাটিকাটা, গোপালবাড়ি, বিষ্ণুপুর ও দোরাননগরের শতাধিক কৃষকের পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মেসার্স খাঁন ট্রেডার্স সিলগালা করা হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলাকার একটি কুচক্তিমহল বিভিন্ন সময় চক্রান্তের মাধ্যমে এ পরিবারকে বিপদে ফেলানোর চেষ্টা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নামে ৬ টি মিথ্যা মামলা হয়েছে। এ সুযোগে বাবুল মোল্যা একজন স’মিল শ্রমিক হয়েও একটি মামলার বাদী হয়েছে। তার মাঠে কোন জমি জমা নেই এমনকি সে ভুক্তভোগী কৃষকের তালিকায় কোন নাম নেই। এলাকায় সে প্রতারক হিসেবেও পরিচিত।
এ বিষয়ে তার আপন চাচাতো আমিরুল শেখ ও সাজ্জাদ শেখ বলেন, সব মিথ্যা ও বানোয়াট ও খদ্দকচুন্দি স’মিলে কাজ করে। ওই ওইদিন ও সেখানে কাজ করছিলো। কাজ করতে গিয়ে পায়ে লগের আঘাত লাগে। মারার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
কাদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ নওশনের ইসলাম বলেন, আমি পরের দিন সকালে বিষয়টি জানতে পারি। পরে বিষয়টি জানতে চাইলে ও তখন বলে, আমি মানুষের প্ররোচনায় পড়ে এ কাজ করেছি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এমএমএমবি ব্রিকস এন্ড স’মিলের শ্রমিক নেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ও সেদিন আমাদের সাথে কাজ করছিলো। কাজ করতে গিয়ে ওর পায়ে আঘাত লাগে। যদি ও মারার কথা বলে তাহলে সেটা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, বাবুল মোল্যার বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে। আমাদের পরিবারের অনেকেই বাহিরে চাকরি করে। বাবুল মোল্যাকে শুনেছি মারা হয়েছে। সে তো আমার দোকান থেকে কোনদিন সার ও কিটনাশক কিনে না। আমাদের হেনস্তা করার জন্য সে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে। সে যে মিথ্যা মামলা করলো আমরা তার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে বাবুল মোল্যার মুঠোফোনে বারবার কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার গ্রামের বাড়িতে গেলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রিটন সরকার বলেন, এ বিষয়ে আদালত থেকে একটি এফআইআর হাতে পেয়েছি। আসামীদের দ্রুত আটকের চেষ্টা চলছে।