মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুরে রোপা ও বরো আমন ঘরে তুলতে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছে। এ বছর কৃষকেরা আমনের ভালো ফলনের আশা করছেন। তবে তারা ধানের ন্যায্যমূল্য ও শ্রমিক সংকটের কারণে রয়েছেন হতাশায়। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে আশানুরূপ ফলনের আশা তাদের। উপজেলার অধিকাংশ কৃষক এখন ধান কাটা, মাঠ থেকে বাড়িতে আনা এবং মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত। গরু, মহিষ এবং ঘোড়ার গাড়ি ছাড়াও মাথায় করেই ঘরে তুলছেন নতুন ধান। অনেক জমিতে ধান কেটে রোদে শুকানো হচ্ছে। শুকানোর পর অনেকগুলো ধানের গাছ বাঁধা হয় একত্রে। এ পদ্ধতিতে কৃষকদের ধান মাড়াইয়ের ক্ষেত্রেও অনেকটা সুবিধা হয়। খড়ের দাম ভালো হওয়ায় এবং গবাদি পশুর জন্য খড়ের যথেষ্ট চাহিদা হওয়ায় কৃষকেরা হচ্ছেন লাভবান। এরই মধ্যে কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রিও শুরু হয়েছে নতুন ধান। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, শ্রীপুর উপজেলায় এবার ১১ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উফসি ৭ হাজার ৮১৫ হেক্টর, হাইব্রীড ২২’শ ৬০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ১’শ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে৷ উপজেলার কয়েকজন কৃষক বলেন, আমন ধানের রোগবালাই খুব কম হয়। এ বছর আমনের ভালো ফলনের আশা করছি। ইতিমধ্যে অধিকাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে এ ধান কাটা শুরু হলেও এ বছর আগে থেকেই এই ধান পাকতে শুরু করেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে এবার লাভবান হবেন এমনটাই আশা কৃষকদের। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলনের লক্ষে বিভিন্ন জাতের ধান আবাদে কাজ করছি। বিশেষ করে হাইব্রীড জাত আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। নতুন জাতগুলো নিয়ে ১৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে।