আজ রবিবার, জুন ৪, ২০২৩ ইং
loading....
শিরোনাম:
- মাগুরায় লোকনাথ বাবাজীর ১৩৩ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও পূজা অনুষ্ঠিত। Magura news
- শ্রীপুরে ছাত্রদের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা, আহত ১। Magura news
- শ্রীপুরে ফোনে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় হামলা। Magura news
- পে-স্কেল না হলেও সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে
- শ্রীপুরে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত
- শ্রীপুরে অসহায় ও অস্বচ্ছল প্রবীণদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ
- শ্রীপুরে ২'শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামীলীগে যোগদান। Magura news
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা থাকছে বাজেটে
- শ্রীপুর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- শালিখায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়েই ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত
মনিরুল ইসলাম , বিশেষ প্রতিবেদক-
শালিখায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রার অধিক ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান কাটাও শুরু করেছেন অনেকে। তবে বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট লঘুচাপে খবরে দ্রুত ধান কাটার চেষ্টা করছেন চাষিরা। এতে শ্রমিক সংকটে গলার কাঁটা হয়ে পড়েছে কষ্টে ফলানো ধান।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় হালদার জানান, চলতি বছর শালিখায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমি। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৫ হাজার ৭২৬ মেট্রিক টন ধান। তবে উপজেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে মোট উৎপাদিত জমির ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে স্বল্প সময়ে ধান কেটে ঘরে তোলায় ব্যাস্ত চাষিরা। উপজেলার তালখড়ি, শতখালী, ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এই অবস্থা দেখা গেছে।
সরেজমিনের দেখা যায়, কেউ ধান কাটছে, কেউ মাথায় করে জমি থেকে ধান বয়ে নিচ্ছেন, কেউ গরু-মহিষের গাড়িতে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে, অনেকে মাঠেই ধান মাড়াই করছেন। তবে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বিচালির আশা ছেড়ে শুধুমাত্র ধান সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে পুরুষের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন নারীরাও।
বরাবরের মতো মাঠ থেকে ধান সংগ্রহ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘোড়া, মহিষ ও গরুর গাড়ি নিয়ে আসছেন গাড়োয়ানেরা। এমনি একজন গাড়োয়ান জয়নাল মোল্লা জানান, ‘প্রতিবার আবাদের পর আমরা বিভিন্ন এলাকায় ধান বইতে যাই। এভাবে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা মতো আয় হয়।’
আড়পাড়া ইউনিয়নের দিঘী গ্রামের কৃষক রতন বিশ্বাস বলেন, চলতি বছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। ফলও হয়েছে ভালো। তবে মজুরি বাড়ায় দৈনিক প্রায় এক মণ ধান দিয়ে একজন কৃষাণ (ধান কাটার শ্রমিক) নিতে হচ্ছে। এতে খেতের সব ফসল তুলেতে এক তৃতীয়াংশ ধান শ্রমিকদের পেছনে ব্যয় হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
বুনাগাতী ইউনিয়নের কৃষক লুৎফর মোল্যা বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধান ভিজে গেছে। এতে ভেজা ধান নিয়ে বেশ দুর্ভোগে পড়েছি।
রবি বিশ্বাস, ফিরোজ বিশ্বাস, নজরুল মোল্যা, হরিদাস, গোপালসহ একাধিক কৃষকদের সঙ্গে কথা হলে জানা গেছে, ফসল ভালো হলেও বৈশাখীর ঝড় নিয়ে শঙ্কায় আছেন। পাশাপাশি শ্রমিক সংকট ও তাদের মজুরি পরিশোধ নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ধান কাটায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন অর্থের সাশ্রয় হবে, অপরদিকে কৃষকদের সময় বেঁচে যাবে। তা ছাড়া শ্রমিক সংকটও কেটে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।