মনিরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদক-
শালিখা উপজেলার শরুশুনা কুল্লোতলা মাদ্রাসা সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দেখা যায় অন্যরকম চিত্র। সপ্তাহে রবিবার ও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শোনা যায় পাখির কিচিরমিচির শদ্ধ। নানা কাজে ব্যস্ত মানুষ গুলোকে দুইদিনের জন্য কিছুটা খেয়ালি করে তোলে পাখিগুলো। কারণ সপ্তাহের দুইটি দিনেই নানা রঙের পাখির মেলা বসে৷ এটিই শালিখা উপজেলার সবচেয়ে বড় পাখির হাট।
এলাকাবাসী জানান, প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবা দুপুর ১টা থেকে এ হাট বসে। সেখানেশালিখা উপজেলার তথা মাগুরা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাখিপ্রেমীরা এখানে ছুটে আসেন। স্কুলের শিক্ষার্থী তথা গ্রামবাসীরা এ হাট নিয়ে খুবই খুশি।
গত রবিবার বিকালে পাখির হাটে গিয়ে দেখা যায়, শরুশুনা টু বুনাগাতি সড়কের পাশে বসেছে এই হাটটি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়তে দেখা গেছে। দুপুরের মধ্যে সেখানে বিক্রেতার সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। হাটে আনা পাখির মধ্যে বেশিরভাগই ছিল বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর। ছিল বাজরিগর,মুনিয়া,ডাইমন্ড ঘুঘু,অস্টোলিয়ান ঘুঘু, টিয়া, ময়না, প্রিন্স, কাজলিও। এ ছাড়া টার্কি, চিনা হাঁসসহ বিভিন্ন পাখির বাচ্চাও হাটে এনেছেন বিক্রেতারা। তারা জানান, সব পাখিই গৃহপালিত।
হাটে রেসিং হোমার, মদিনা কিং ও গিরিবাজ কবুতর এনেছেন, এ সবই বাড়িতে পালন করা হয়। এর মধ্যে হোমার ও মদিনা কিং জোড়া দুই হাজার এবং গলাকাটা গিরিবাজ দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। বিভিন্ন প্রজাতির মুরগির বাচ্চা বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে তিন-চার মাস বয়সী টার্কি মুরগি তিন হাজার টাকা এবং চীনা মুরগি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রির আশা তাদের।শাহ মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে পাখি পালন করছি পালন করছি। তাই মনিয়া পাখি বিক্রির জন্য হাটে এসেছি।
ঘুরে দেখা গেল, হাটে ছোট প্রিন্স ও মনিয়া পাখি নজর কাড়ছে সবচেয়ে বেশি। এগুলোর দাম ছিল প্রতি জোড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। ধূসর রঙের কাজলি এক জোড়া পাখির দাম ৬০০ টাকা।
সাদা রঙের ছোট ডায়মন্ড রোপের দাম এক থেকে দেড় হাজার টাকা জোড়া। লাভ বার্ডের দাম আট হাজার টাকা জোড়া।
কবুতরের মধ্যে দেশি জাতের তুলনায় বিদেশিগুলোর দাম বেশি। প্রতি জোড়া ইয়োলো কিং চার হাজার টাকা, হাউস পিজন আট থেকে ১০ হাজার, বল কবুতর সাত থেকে আট হাজার এবং পিন ছয় থেকে আট হাজার টাকা। এ ছাড়া জালালি কবুতর ৮০০ থেকে এক হাজার এবং লক্ষা আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এখানে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। অনেক দামি পাখি ও কবুতর বিক্রি হয়। দক্ষিণ শরুশুনা গ্রামের হাসান বলেন, এখানে গত ১০ দিন ধরে রাস্তার পাশেই হাট বসছে। হাটটি স্থায়ী করার জন্য উপজেলা প্রসাশন সহ চেয়ারম্যানকে বলা হবে।
Like this:
Like Loading...