মাগুরানিউজ.কমঃ বিশেষ প্রতিবেদক –
মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে সম্মান প্রথম বর্ষের নবীনবরণকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচিতি সভা আয়োজন করা হয় বিভিন্ন বিভাগে। এর একপর্যায়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কলেজের বাস্কেটবল মাঠে ও কলেজের মূল ফটকে অন্তত তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের কথা বলেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাব্বি বলেন, ছাত্রদলের অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টশন ক্লাস চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নবাগত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে-ক্লাসে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছিল। এ সময় ছাত্রদলের ২০-২৫ জন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছিলো। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।
অন্যদিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম দাবি করেন, মঙ্গলবার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টশন ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের ফুল ও কলম দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ কলেজ ক্যাম্পাসে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগের হামলায় রিমন ও রুমন নামে ছাত্রদলের দুই কর্মী আহত হন। কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলামকে তার দীর্ঘ সময় আটকে রাখে ছাত্রলীগ।
সদর থানার ওসি অপারেশন সাইদুর রহমান বলেন, সোহরাওয়ার্দী কলেজে উত্তেজনার খরব পেয়ে তারা সেখানে গিয়ে পরিবেশ শান্ত দেখেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, নবীন বরণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়ামুল করিম লিটু বলেন, ওরিয়েন্টশন ক্লাস চলাকালে তিনি ৪-৫ টি ককটেল জাতীয় বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তবে কি ঘটেছে তা তিনি জানেন না। কলেজের পরিবেশ শান্ত আছে।