জয় মিত্র-
চোখ ধাঁধাঁনো প্রদর্শনীর আয়োজনে ব্যস্ত মাগুরা শহর। প্রতিমা কিংবা প্যান্ডেল, মিউজিক থেকে আলোকসজ্জা সবখানেই বৈচিত্রের ছাপ। নতুন নতুন বৈচিত্রময় দৃষ্টিনন্দন শৃজনশীল ভাবনার প্রয়োগ। নজর কাড়বে কে, তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। এ পূজার সমৃদ্ধ সৃজনশীল নান্দনিক আয়োজন সারাবিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সকলের কাছে বিশেষ আগ্রহের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রীতির বার্তা দিতেই মাগুরাতে প্রতিবছর আয়োজিত হয় কাত্যায়নী পূজা। ১৫ই কার্ত্তিক ২ই নভেম্বর শনিবার মহাষষ্ঠী পূজা। এবার মহাঅষ্টমী পূজা দুইদিন বিধায় ২০শে কার্ত্তিক ৭ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
অনেকের মতে, কিছু বছর ধরে নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন কাত্যায়নী পূজার আয়োজকেরারা। আম বাঙালির কাছে পায়ে ফোসকা নিয়ে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পথ হেঁটে ঠাকুর দেখার মজাই আলাদা। যত দিন যাচ্ছে, থিম তথা এক প্রকার শিল্প দেখতে মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বেড়েছে বই কমেনি। শুধু ধরন বদলে যাচ্ছে। আগে মানুষ দিন দুপুরে ঠাকুর দেখার পর্ব শেষ করে ফেলতেন, এখন সারারাত ধরে ঠাকুর দেখতে পছন্দ করেন। দেখা যাক, এ বছরও সেই ধারা বজায় থাকে কিনা। পূজা দেখার নিমন্ত্রন সবার জন্য। সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো থাকবেন। সম্প্রীতির এ উৎসব হোক আনন্দময়।
-ফাইল ছবি।