মাগুরানিউজ.কম:
দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের ভাবনা নেই আর। চাষের ক্ষেতে উপচোচ্ছে সোনালি ধান। বড় সুখের সময় মাগুরার। ধানে ধন্য মাগুরা। অন্নচিন্তা মুক্ত।
গত কয়েক বছর আমনের সঠিক দাম না পাওয়ায় হাসি ছিল না মুখে। উৎপাদন খরচ না ওঠায় নবান্নের আনন্দ ছিল না খুব বেশি। তবে এবার ভালো দাম থাকায় স্বস্তিতে মাগুরার কৃষকরা। কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দাম পেয়ে খুশি তারা, এমনটাই মন্তব্য মাগুরার কৃষকদের।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ৫৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা হয়। সর্বমোট আমন উৎপাদনের পরিমাণ এক লাখ ৬০ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন।
সদর উপজেলার লক্ষীকান্দর এলাকার কৃষক সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ ধানের দাম ১শ থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে নতুন আমন ধান উঠার পর দাম মণপ্রতি ২শ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত কমে ছিল।
সদর উপজেলার কাটাখালী গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে আমন চাষ করে গত বছর ৩৫ হাজার টাকায় ধান বিক্রি করেছি। এ বছর একই পরিমাণ জমিতে চাষ করে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার ধান বিক্রি করেছি, আরও ধান রয়েছে।’
শ্রীপুর উপজেলার নাকোল গ্রামের কৃষক আজাদ মিয়া বলেন, ‘এবার আবহাওয়া, সারের প্রাপ্যতা সবই অনুকূলে ছিল। এছাড়াও গত কয়েক বছর অব্যাহত লোকসানের কারণে অনেক কৃষকই এবার আমন রোপণ করেনি। এসব কারণেই হয়তো কৃষক এবার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। আমরা কৃষকরা সত্যিই খুব খুশি।’
শহরের সাজিয়ারা এলাকার মিলার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এবার আমনের দাম বেশি, সরকারেরও উচিত হবে আমন সংগ্রহ অভিযানে সেভাবেই মূল্য নির্ধারণ করা। নইলে মিলার, কৃষক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা গোবিন্দ্র দাস বলেন, ‘আবহাওয়া এবার অনুকূল ছিল। এছাড়া সারের সরবরাহও ভালো ছিল। সব মিলে এবার উৎপাদন ভালো হয়েছে। কৃষক মূল্যও পাচ্ছে ভালো। সব মিলে কৃষকের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে এটাই বড় কথা।’