মাগুরানিউজ.কমঃ

বিশেষ প্রতিবেদক –
জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো ভাবনা ছিল না বঙ্গবন্ধুর; তিনি বলতেন, “আমার জন্মদিনই কী, আর মৃত্যুদিনই কী? আমার জনগণের জন্য আমার জীবন ও মৃত্যু। আমি তো আমার জীবন জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছি।”
সেই শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী মঙ্গলবার, যার হাত ধরে এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, দেশের মানুষ ভালোবেসে যাকে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু উপাধি, স্বাধীন দেশের সংবিধান যাকে দিয়েছে জাতির পিতার স্বীকৃতি। তিনিই প্রেরণা বাঙ্গালির।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়াল পত্রিকা উন্মোচন করেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার সরকারী আরএসকেএইচ ইস্টিটিউশনের শিক্ষার্থীরা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ ঘোষণা করে সাড়ম্বরে উদযাপনের সব প্রস্তুতি সরকার নিলেও নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে মহামারী রূপ নেওয়ায় জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সেই আয়োজন সীমিত করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। দিবসটিতে স্কুল-কলেজে শিশুদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও তা এবার আর হচ্ছে না।
বাবাকে নিয়ে শিশুদের উদ্দেশে শেখ হাসিনার লেখা একটি চিঠি কোটি শিক্ষার্থীর একসঙ্গে পাঠ করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। তবে চিঠিটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর বাণীতেও শিশুদের প্রতি সহিংস আচরণ এবং সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্যও ঠিক হয়েছে ‘মুজিববর্ষে সোনার বাংলা, ছড়ায় নতুন স্বপ্নাবেশ; শিশুর হাসি আনবে বয়ে, আলোর পরিবেশ’।