ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় ফিতরা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৪ সালের (১৪৩৫ হিজরি) সর্বনিম্ন ফিতরা ৬৫ টাকা ও সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।বায়তুল মোকাররমের খতিব এবং জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এ ঘোষণা দেন।
ইসলামি শরিয়াহ মতে, গম, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা নির্ধারণ করা যায়। গম বা আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে এক কেজি ৬৫০ গ্রাম, যার বাজারমূল্য ৬৫ টাকা। খেজুর দ্বারা আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম, যার বাজারমূল্য দুই হাজার টাকা। কিশমিশ দ্বারা আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম, যার বাজারমূল্য এক হাজার ৪৮৫ টাকা। পনির দ্বারা আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম, যার বাজারমূল্য এক হাজার ৫৮৫ টাকা। সভা শেষে সার্বিক আলোচনার ভিত্তিতে বাজারমূল্য বিবেচনা করে এ হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সাদকাতুল ফিতরা আদায় করতে পারবে। রোববার বেফাকুল মাদারাসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ঘোষিত সর্বনিম্ন ফিতরা ৬০ টাকা নির্ধারণ বিরোধিতা করে মাওলানা সালাহ উদ্দিন বলেন, জাতীয় পর্যায়ে একটি ফিতরা কমিটি থাকা সত্ত্বেও বেফাক সর্বনিম্ন ফিতরা ৬০ টাকা নির্ধারণের যে ঘোষণা দিয়েছে, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি।
সভায় জাতীয় ফিতরা কমিটির সদস্য ও বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহহিল বাকী, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, কাদেরিয়া তৈয়োবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাস্রি ড. মো. আবু সালেহ পাটওয়ারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালসহ আরো অনেকে।