মাগুরানিউজ.কমঃ ইন্টারনেট অবলম্বনে-
টানা ৯ দিন পড় ১২ শিশুকে জীবিত দেখে উদ্ধারকারীরা কেঁদে ফেললেন৷ উদ্ধাকারী দলের ডাকে সাড়া দেয় খুদেরা৷ ক্ষীণ গলায় তারা জানায়- ‘আমরা বেঁচে আছি’৷ সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকারী দল তাদের মনের জোর ধরে রাখার কথা বলেন৷ থাই সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, গুহার ভেতরে আটকা পড়া ১২ কিশোর ফুটবলারের কেউই সাঁতার জানে না। একে তো গুহার ভেতরে বন্যার পানি জমে আছে, তার ওপর রয়েছে আরও বৃষ্টির আভাস।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৩ জুলাই) থাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুপং পাউজিন্দা সতর্ক করেছেন, পানির উচ্চতা বাড়ার আগেই তাদের বের করা না গেলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়বে। এমন অবস্থায় ১২ ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারের জন্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়াতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। যতটা সম্ভব সেচ করে পানি কমানোর চেষ্টা করছেন তারা। ডাইভিং গিয়ার ব্যবহার করে ফুটবলারদের বের করে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
২৩ জুন থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় বিকাল ১১টা থেকে ১৬ বছর বয়সী ১২ ফুটবলার ও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ উত্তরের প্রদেশ চিয়াং রাইয়ের ‘থাম লুয়াং নায় নন’ গুহায় প্রবেশ করেন। পরে প্রবল বৃষ্টিতে গুহার প্রধান প্রবেশপথ রুদ্ধ হলে তারা আটকে পড়ে। আটকে পড়া শিশুরা জীবিত আছে বলে সোমবার নিশ্চিত হওয়া গেছে। উদ্ধারকর্মীরা তাদের খাবার সরবরাহের চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) থাইল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুপং পাওজিন্দা জানান, ১৩ ফুটবলারকে গুহার প্রবেশপথে নিয়ে আসার জন্য কাজ চলছে। শুরুতে উদ্ধারকারীরা যতটা সম্ভব পানি কমানোর চেষ্টা করছেন। তারপরও কিছু কিছু জায়গায় আটকা পড়া ফুটবলারদের ডুব দিয়ে দিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে সরু পথগুলো দিয়ে আসার সময় তাদের অনেক কাছ থেকে সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে না। সে সময় তাদের ডাইভিং গিয়ার ব্যবহার করে নিজে নিজে ডুব দিয়ে আসতে হবে। একজন একজন করে তারা বের হয়ে আসবে।
অনুপং বলেন, ‘ডাইভিং সহজ কাজ নয়। যারা আগে কখনও ডাইভিং করেনি, তাদের কাছে এটা জটিল মনে হবে। কারণ, গুহার ভেতরে সরু কিছু পথ আছে। তাদের অবশ্যই ডাইভিং গিয়ার ব্যবহার করা জানতে হবে। যেকোনও মুহূর্তে ডাইভিং গিয়ার হারিয়ে গেলে তা জীবন-শঙ্কা তৈরি করবে।’
থাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, সরু পথগুলো ছাড়া বাকি পথগুলোতে প্রতি ফুটবলারের সঙ্গে দুজন করে উদ্ধারকারী থাকতে পারবেন। তবে জোরেশোরে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে হবে উল্লেখ করে অনুপং বলেন, ‘যেহেতু আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি হবে বলে আভাস রয়েছে, সেক্ষেত্রে উদ্ধার প্রক্রিয়া জোরেশোরে চালাতে হবে। ডাইভিং গিয়ার ব্যবহার করা হবে। যদি পানি বেড়ে যায়, কাজ কঠিন হয়ে পড়বে। আমাদের তার আগেই ওই বাচ্চাদের বের করে আনতে হবে।’
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মহাপরিদর্শক থংচাই লের্তিউইলাইরাতানাপং জানান, গুহায় আটকা পড়া ফুটবলাররা ভালো আছেন। উদ্ধারের পর ফুটবলারদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চিয়াং রাই প্রাচানুকরোহ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।