মনিরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদক-
এন্টিবায়োটিক একটি রোগ প্রতিরোধক ওষুধ যা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তবে এন্টিবায়োটিক সঠিকভাবে সেবন না করলে শরীরে রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয় যাতে করে মানবদেহে এন্টিবডি তৈরির বিপরীত ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই এন্টিবায়োটিক ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হওয়ার জরুরি।
আজ বিশ্ব এন্টি মাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ-২০২২ বাস্তবায়ন উপলক্ষে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইমুন নিছা এসব কথা বলেন।
এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কন্টেন্টমেন্ট, ভাইরাল হেপাটাইটিস ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, সিডিসি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে তিনি আরও বলেন, রেজিস্ট্যান্স হলো একটি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। শরীরে এন্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ প্রয়োগ করলে যদি জীবাণু না মরে বা সংখ্যা না কমে তবে সংক্রমণ নিরাময় হয় না অর্থাৎ সংক্রমণ চিকিৎসা বা প্রতিরোধ কাজের কোন ফল পাওয়া যায় না সেরকম একটা পরিস্থিতি হল রেজিস্ট্যান্স। এটি রোগ জীবাণুর একটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বৈশিষ্ট্য। রেজিস্ট্যান্স অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত যত বেশি এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হবে তত বেশি রেজিস্ট্যান্স তৈরি হবে। অপর্যাপ্ত এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার ইনফেকশনের প্রতিকার হয় না উপরন্ত তা রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে তাই কেবলমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক গ্রহণ এবং তার কোর্স সম্পূর্ণ করার অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্বাস উদ্দিন, মেডিকেল অফিসার ডা. মামুনুর রশিদ, ডা. সুমাইয়া সাবরিন, ডা. হরশিত বিশ্বাস, ডা. অনিন্দ্য সুন্দর, ডা. ফাহমিদা জামান স্নিগ্ধা, ডা. সাদিয়া আফরিন, ডা. ইলোরা আফরোজ, ডা. রুমা সুলতানা, ডা. তাহমিদা মোস্তফা যুথী, সিনিয়র স্টাফ নার্স তহমিনা সুলতানাসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইমুন নিসার নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে শুরু হয়ে শালিখা বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।