আশরাফ হোসেন পল্টু, বিশেষ প্রতিবেদক –
শ্রীপুরের গড়াই নদীর অব্যাহত ভাঙনে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের অসংখ্য আবাদি জমি ও ঘর-বাড়ি দিন-দিন নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। ফলে নদী
তীরবর্তী এলাকার বসবাসরত লোকজন চরম হতাশার মধ্যে দিন-রাত অতিবাহিত
করছে।
ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্ষা মৌসূমের প্রবল বর্ষণ ও তীব্র স্রোত
এবং বর্ষার পানি নামার সাথে সাথেই শুরু হয় তীব্র নদী ভাঙন। এভাবে
অব্যাহতভাবে নদী ভাঙনের ফলে নদী পাড়ের অসংখ্য আবাদি জমি ও ঘর-বাড়ি দিন-দিন
নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । নদী গর্ভে সর্বস্ব হারিয়ে শতশত পরিবার অন্যত্র
আশ্রয় নিয়েছে। বিশেষ করে আমলসার ইউনিয়নের বদনপুর, আমলসার ও টিকারবিলা
গ্রাম, দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের চরচৌগাছি, ঘসিয়াল ও গঙ্গারামখালী গ্রাম
এবং কাদিরপাড়া ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ
হয়েছে। নদীর তীরবর্তী বেঁরিবাঁধটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে পড়েছে।
এ বিষয়ে চরচৌগাছি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী বলেন,চরচৌগাছি
ও ঘসিয়াল গ্রামের প্রায় ৫’শত একর ফসলি জমি এবং অসংখ্য বাড়ি-ঘর নদী
বিলীন হয়ে গেছে । অনেক পরিবার বাড়ি-ঘর সব হারিয়ে সরকারি খালের ধারে
আশ্রয় নিয়েছে।
এ বিষয়ে দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন কানন জানান,
নদী ভাঙন এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সম্ভবমত সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা
প্রদান করা হয়েছে।
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারোয়ার জাহান
সুজন জানান, বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচরে আছে। এবিষয়টি প্রতিকারের
জন্য ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জন্য বরাদ্ধ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে অবগত
করা হয়েছে । তবে বর্ষা মৌসূমে বেশকিছু দুর্গত এলাকায় জিও ব্যাগও ফেলা
হয়েছে । সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও বরাদ্দ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহন গ্রহন করা হবে ।