মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদ বাংলাদেশের উদ্যোগে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস ও ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ‘৭৫ এর প্রতিরোধ যোদ্ধা আব্দুস সামাদ পিন্টু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. সানজিদা খানম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমানের সরাসরি ইন্ধন ও সহযোগিতা না থাকলে খন্দকার মোস্তাকের সাহস হতো না জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পরপরই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বাধীনতার স্বপ্নকে চিরতরে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা। দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার জ্ঞানগর্ব, চিন্তাধারা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে উন্নয়নের সমৃদ্ধির পথে দাড়িয়েছে। আর খুনি জিয়ার দল আস্তাখুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদ বাংলাদেশের সকল কর্মকান্ড প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আফজালুর রহমান বাবু। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। জেল হত্যা ও মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যার আসামিদের বিচার হয়েছে ও বাকি পলাতক আসামিদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলে আমারা বিশ্বাস করি। মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদ বাংলাদেশের সকল কর্মকান্ডের সাথে আমরা আতিতে ছিলাম বর্তমানে আছি এবং ভবিষৎতেও থাকবো। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির তথ্য গবেষণ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও শহীদ পরিবারের সন্তান মিয়া মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ আজহারুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ‘৭৫ এর প্রতিরোধ যোদ্ধা আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ‘৭৫ এর প্রতিরোধ যোদ্ধা আব্দুর রউফ শিকদার, সংগঠনটির মহাসচিব ও সাবেক ছাত্রনেতা কাজী রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ওয়াজেদ আলী খান (পবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান), প্রচার সম্পাদক বাবু চন্দ্র কুমার ভৌমিক, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও ‘৭৫ এর প্রতিরোধ যোদ্ধা গাব্রিয়াল চাম্বুগং, নারী ও শিশু কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মিনারা পারভিন সুলতানা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মোঃ রাজিবুল আলম বিপ্লব, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাকালিন সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মিয়া সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি শাহজাহান সাজু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি সাইদুর রহমান প্রমুখ।