মাগুরানিউজ.কমঃ
মাগুরায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কমিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সে কারণে একদিনের ব্যবধানেই প্রতিটি চামড়ার দাম কমে গেছে চার থেকে পাঁচশ’ টাকা পর্যন্ত। ফলে, বেশি দাম দিয়ে চামড়া কেনা ক্ষুদ্র ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। পুঁজি হারানোর আশঙ্কায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা।
জানা যায়, বুধবার সকালেও মাগুরা সদরের রামনগর চামড়ারহাটে প্রতিটি চামড়া গড়ে দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও, দুপুর গড়াবার সঙ্গে সঙ্গেই তা নেমে আসে দু’হাজারের নিচে। এদিকে, ভালো দাম দেখে ক্ষুদ্র ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে চামড়া কিনে ওই হাটে এনে কম দাম দেখে হতাশ হয়ে পড়েন।
ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ী হাতেম আলী জানান, সকালে চড়া দামে চামড়া কেনাবেচা দেখে বেলা ১১টার দিকে ১০-১২ জন পাইকার সমঝোতা করেন যে, তারা বেশিদামে চামড়া কিনবেন না। এর পরই প্রতিটি চামড়ার দাম কমে যায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকালে বেশি দামে কেনাবেচা হলেও, পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ট্যানারি বাজারে এর দাম কম। এ জন্য দাম কমিয়ে দেওয়া হয়।
ব্যবসা-সংশ্লিষ্টরা জানান, গত পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে এবারই সারা দেশে সব’চে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে কোরবানির পশুর চামড়া। কিন্তু নির্ধারিত মূল্য সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই বেশি দামে চামড়া কিনেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। ফলে, দাম নিয়ে এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
তারা আরো জানান, চামড়ার যে দাম ঘোষণা করা হয়েছিল, তা লবণযুক্ত চামড়ার দাম। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তা না বুঝে, কাঁচা চামড়াই কিনেছেন ওই দামে। আর, তার ফলেই এ জটিলতা।
ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এবার রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া কিনবেন ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। ঢাকার বাইরে এর দাম হবে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
এছাড়া প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত মহিষের চামড়ার দাম ধরা হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। সারা দেশে খাসির লবণযুক্ত চামড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকায় সংগ্রহ করা হবে।