মাগুরানিউজ.কমঃ
মাগুরায় কয়েকদিন ধরে ঠিকমতো সূর্য্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে গরম কাপড়ের অভাবে ঠান্ডায় কাঁপছে জেলার দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ। তারা আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন।
মাগুরাবাসী আপনারা কি ভাবছেন? এখন আমাদের করনিয় কি? কিভাবে মাগুরার ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে শীত থেকে রক্ষা করা যায়? আপনাদের মতামত জানান। ফেসবুক পেজে কমেন্ট লিখুন। মাগুরা নিউজের সাথে থাকুন। মাগুরার সাথে থাকুন।
আপনাদেরকে সাথে নিয়ে মাগুরানিউজ মাগুরার ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে শীতবস্ত্র বিতরনের বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহন করতে যাচ্ছে। প্রতিটি উন্নয়নকামী মাগুরাবাসীর সম্মিলিত সহযোগীতা আমাদেরকে শক্তিযোগাবে মাগুরার সুবিধাবঞ্চিত প্রতিটি মানুষকে এবছরের তীব্র শীত থেকে রক্ষা করার প্রচেষ্টায় সামিল হতে।
মাগুরানিউজের বিশেষ প্রতিনিধি দল আজ মহম্মদপুরের নদী তীরের গ্রামগুলিতে গিয়ে শীতের যে পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছেন তাতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এসব দরিদ্র সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের হাতে শীতের পোশাক পৌছে দেয়া খুবই জরুরী।
সরকারিভাবে এ পর্যন্ত যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে তার সংখ্যাট খুবই নগন্য। আর ভাগ্যবান তিনি যিনি এই কম্বল হাতে পেয়েছেন বা পাবেন কারন তাদেরকে এটা পেতে গিয়ে রিতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে বা হবে। কম্বলের কথা না হয় বাদই দিলাম অন্তত একটা শীত নিবারনের মোটা জামা দরকার। এমনটাই বললেন মহম্মদপুরের নদীর পাড়ের জেলেপাড়া গ্রামের মোহন বিশ্বাস।
এলাকাবাসিরা জানান, গত কয়েকদিন দিনভর ঠিকমত সূর্য্যের মুখ দেখা যায়নি। মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীর পাড়েই জেলেপাড়া গ্রাম। ওই গ্রামে সকালে গিয়ে দেখা যায়, দরিদ্র মানুষ অনেক স্থানে আগুন জ্বালিয়ে নিজেদের শীত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। গরম কাপড়ের অভাবে ওই গ্রামে অন্তত আড়াই হাজার মানুষ কষ্টে আছে।
এ সময় রহিমা বেগম নামের এক বৃদ্ধা বলেন, ‘নদীর বাতাস খালি হড়হড় করে এসে ঘরে ঢোকে। গায়ে দেওয়ার একটা মোটা কাপড়ও নাই বাবা।’ একই গ্রামের সাবিনা বেগম (৩২) বলেন, ‘রাতে কয়দিন থেকে ঘরে বরপের মোতো ঠান্ডা পানি পড়তিছে। ঠান্ডায় হাত-পা কোঁকড়া লাগে যাচ্ছে।’
গোপালনগর গ্রামের শাহনাজ বেগম (৬৫) কাঁপতে কাঁপতে বলেন, ‘মরণের ঠান্ডা শুরু হইছে। কয়দিন থেকে রইদো নাই। এমন কয়দিন থাকপে?’।
রায়পাশা গ্রামের মালেকা বেগম (৫০) বলেন, ‘ গরিবের জন্য গরমে ভালো। পাতলা ছিঁড়া কাপড় গায়ে দিয়া থাকা যায়। ঠান্ডায় মোটা কাপড় নাই। ছাওয়াল-মেয়ে নিয়ে কষ্টো করি বেচে আছি। আমাদের মেম্বার-চেয়ারম্যানরা দেখে না গো বাবা।’
ধোয়াইল গ্রামের মাজেদা বেগম (৫৫) বলেন, ‘হাত-পা টাটানি ঠান্ডা শুরু হইছে। সহ্য করা যাচ্ছে না। যতদিন যাচ্ছে, ঠান্ডাও বাড়ছে।’
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান জানান,শীতে অসহায় মানুষকে রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বিত্তশালীদেরও এগিয়ে আসা দরকার।
এমতাব্যস্থায় মাগুরাবাসী আপনারা কি ভাবছেন? এখন করনিয় কি? কিভাবে মাগুরার ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে শীত থেকে রক্ষা করা যায়? আপনাদের মতামত জানান। ফেসবুক পেজে কমেন্ট লিখুন। মাগুরা নিউজের সাথে থাকুন। মাগুরার সাথে থাকুন।