মহাধুমধামে সম্পন্ন হল মাগুরার সঞ্চিতার বাল্যবিয়ে। প্রশাসনকে বার বার অবহিত এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরও প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করায় শুক্রবার রাতে মাগুরার মহম্মদপুরের বাবুখালী ইউনিয়নের চালিমিয়া গ্রামের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সঞ্চিতা রাণী মহুরীর বিয়ে দেয়া হয়েছে ধূমধামের সাথে। বাল্যবিয়েটি বন্ধে উপজেলার বিভিন্ন মহল থেকে জোর দাবি উঠে আসলেও আমলে নেয়নি প্রশাসন। অজ্ঞাত কারণে এ বিষয়টিকে এড়িয়ে যায় প্রশাসন। সঞ্চিতা রাণী মহুরী ওই গ্রামের নরেশ চন্দ্র মহুরীর মেয়ে।
স্থানীয় এক শিক্ষক জানান, চালিমিয়া গ্রামের নরেশ চন্দ্র মহুরীর মেয়ে ও বাবুখালী আফতাব উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিগত জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া সঞ্চিতা রাণী মহুরীর সাথে শুক্রবার রাতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলাধীন সোনাইকুন্ডি গ্রামের গোপাল চন্দ্র মিত্রের ছেলে কোমল মিত্রের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
বাবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাকী মিয়া জানান, মেয়েটির মা নেই। সৎমায়ের ঘরে বেশিদিন না রেখে বিয়েটি সম্পন্ন হওয়ার প্রয়োজন ছিলো বলে তিনি মনে করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউএনও মহোদয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছিলেন তবে মানবিক ও পারিপার্শ্বিক বিষয় বিবেচনা করে বিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, চাচাদের সংসারে বড়ো হওয়া সঞ্চিতাকে স্থানীয় বখাটেরা উত্যক্ত করতো। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে বিয়েটি বন্ধ করা হয়নি।