মাগুরানিউজ.কমঃ

বিশেষ প্রতিবেদক –
মাগুরার মহম্মদপুরে পাল্লা বালিকা বিদ্যালয়ের আজগর আলী নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা নিজের বিকাশে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রীরা ও অভিভাবকরা এ অভিযোগ করেন।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, পাল্লা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক আজগর আলী উপবৃত্তির টাকা আসবে জানিয়ে ছাত্রীদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেন। এবং ছাত্রীদের স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে বলেন ওই শিক্ষক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাল্লা বাজারের ব্যবসায়ী জিসান এন্টারপ্রাইজের মালিক কেরামত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রত্যেক ছাত্রীদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়ে গোপন পিন নম্বর ছাত্রীদের কাছে বুঝিয়ে না দিয়ে শিক্ষক আজগর আলী তার নিজের কাছে রেখে দেন।
পরবর্তীতে উপবৃত্তির টাকা বিকাশ নম্বরে এলে ছাত্রীরা দোকানে টাকা তুলতে গেলেও পিন নাম্বার না থাকায় কেউ টাকা তুলতে পারেননি। পরে অভিভাবকরা মোবাইল নিয়ে স্কুলে যান। সে সময় শিক্ষক আজগর আলী অভিভাবকের কাছে পিন নম্বর দিতে ৮০০ থেকে হাজার টাকা দাবি করেন
পরে শিক্ষক আজগর আলী অভিভাবকদের মোবাইল ফোন নিজে ব্যবহার করে উপবৃত্তির টাকা নিজের মোবাইল নাম্বরে বিকাশ করেন।
এ ব্যাপারে জিসান এন্টারপ্রাইজের মালিক কেরামতকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘স্কুল থেকে যা বলেছে আমি তাই করেছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব শিক্ষকের সম্মতিক্রমে আমার ওপর ছাত্রীদের বকেয়া টাকা তোলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যার কারণে বকেয়া টাকা অভিভাবকরা তুলে নিজ থেকেই আমাকে দিয়েছেন।