ডাঃ রাহুল মিত্র-
২৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য আছাদুজ্জামানের ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী।১৯৯৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন।
তিনি মাগুরা থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি ছিলেন সংসদের বিরোধী দলীয় পার্লামেন্টারী বোর্ডের সচিব।
দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে রবিবার সকালে ভায়না পৌর কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারতসহ শহরে শোক র্যালী ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে স্বরণ সভা।
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠক ১৯৭১ সালে মাগুরা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক
ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পুর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের
এম.পি এ নির্বাচিত হন। ১৯৭২ এ গণ পরিষদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া মাগুরা-২
আসন থেকে ১৯৭৯, ১৯৮৬ এবং ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এ সময় তিনি শ্রেষ্ঠ তরুণ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়।
১৯৩৫ সালের ১১ই নভেম্বর মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মৌলভী জোকা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে ছাত্রজীবনে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬১ সালে তিনি মাগুরা বারে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬২’র ছাত্র
আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলনে
তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সংস্পর্শে
আসেন। ১৯৬৫ সালে তিনি মাগুরা মহকুমা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক
নির্বাচিত হন। ১৯৭৬ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মাগুরা জেলা
আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।