মাগুরানিউজ.কমঃ
গড়াই নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলনের কারণে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার রাজধরপুর গ্রামে অবস্থিত জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের নদী তীরবর্তী টাওয়ারের গোড়ার মাটি সরে এটি হুমকির মুখে পড়েছে। একই কারণে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কামারখালী ব্রিজের মাগুরা অংশে দুটি পিলারের অদূরে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মাগুরা নিউজে সংবাদ প্রকাশিত হলেও এখনো টনক নড়েনি কতৃপক্ষের। ফলে বিষয়টি নিয়ে মাগুরাবাসী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নদী ভাঙন ও বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে ভাঙন তীব্রতর হওয়ায় বিলীন হয়ে গেছে ওই এলাকার মাঝআইল শেখপাড়া, রাজধরপুর, কালিনগর গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি, আবাদী জমি ও বনজ-ফলের বাগান। প্রতিনিয়ত ভাঙছে নদীর পাড়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নদী তীরবর্তী রাজধরপুর গ্রামে অবস্থিত জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের সঞ্চালন লাইনের বৃহদাকার টাওয়ারটির অবস্থা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে নিচের স্তরের মাটি সরে যাচ্ছে। ফলে যে কোনো মুহূর্তে টাওয়ারটি বাঁকা হয়ে যেতে পারে বা ভেঙে পড়তে পারে।
অপরদিকে একই এলাকার নাকোল ইউনিয়নের মাঝআইল, রাজধরপুর ও কালিনগর গ্রামের শত শত একর আবাদি জমির গাছপালা, ফসল, পার্শ¦বর্তী রাস্তা নদীতে মিশে গেছে।
এ গ্রামের গোলাম মওলা, আবদুল হাকিম ও শাহজাহানসহ অন্তত ১০টি পরিবারের বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যখানে সরে গেছে। তারা জানান, বর্যা মৌসুমে নদীর পানির তীব্র স্রোতে তীরবর্তী জমিতে ফাটল ধরে। শুস্ক মৌসুমে নদীর পানি সরে যাওয়ায় এসব ফাটল ধরা এসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তেলনের কারণে মাটির স্তর সরে গেছে। এর ফলে এ গ্রামে অবস্থিত বিদ্যুতের টাওয়ার ও কামারখালী ব্রিজের পাশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবছরই এভাবে নদীর ভাঙনে ফসলের জমি নদীতে মিশে যাচ্ছে। বালু কাটা বন্ধ হলে এ ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে নদীর এপাড়ে বাঁধ অথবা স্পার্ক বাঁধ দিয়ে স্রোতের গতি পরিবর্তন করে এ ভাঙন রোধ করা যেতে পারে।
এ ব্যাপারে নাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়া জানান, বিষয়টি মাগুরার জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জ্ঞাত রয়েছেন।