মাগুরানিউজ.কমঃ
মাগুরার বিভিন্ন গ্রামে তৈরি মাটির রিং সমাদৃত হচ্ছে নিজ জেলা ছাড়িয়ে আশেপাশের জেলাতেও। সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরিতে এর জুড়ি নেই। সাশ্রয়ী ও টেকসই হওয়ায় সিমেন্ট-বালির তৈরি রিংয়ের স্থান দখল করেছে এই মাটির তৈরি রিং।
রিং কারিগর জুবায়ের মিয়া জানান, ইট তৈরির প্রক্রিয়ার মতই রিং তৈরির প্রক্রিয়া। মাটি-পানি মিশিয়ে উপযুক্ত কাঁদা বানানো হয়। এরপরে নির্ধারিত ছাচে রিং বানানো হয়। রোদে শুকিয়ে তা খোলায় পুড়িয়ে ব্যবহার উপযোগি করা হয়।
রিং তৈরির কারিগর ও ব্যবহারকারীরা জানান, বর্তমানে শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়ির পানি নিষ্কাশন ও টয়লেটের জন্য আলাদা সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি আবশ্যক হয়ে পড়েছে। বড় আকারের একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক যদি সিমেন্টের তৈরি রিং দিয়ে বানানো হয় তাহলে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ পড়ে। সেখানে মাটির তৈরি রিংয়ে খরচ হয় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা।
অন্যদিকে সিমেন্টে নোনা ধরে ৫ থেকে ৬ বছরেই রিং অকেজো হয়ে পড়ে। কিন্তু মাটির রিংয়ের স্থায়ীত্ব প্রায় ১০০ বছর। তাই এখন বেশিরভাগ বাসা বাড়িতে সিমেন্টের রিং বাদ দিয়ে মাটির রিং দিয়েই সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে।
জেলার চাহিদা মিটিয়ে চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে মাটির রিং। আর এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েক শ’ মানুষ এখন স্বাবলম্বী জীবন-যাপন করছেন।
আমতৈলের জুবায়ের হোসেনের রিং তৈরির খোলায় গিয়ে চোখে পড়ে প্রায় বিশ জন কারিগরের ব্যস্ততা। পাশেই রাখা রিংয়ের স্তুপ। কথা হয় জুবায়েরসহ কয়েকজন কারিগরের সঙ্গে।
তারা জানান, ছয় জন অংশীদার মিলে এই খোলাটি চালাচ্ছেন। অংশীদার ও শ্রমিকরা মিলে দিনে রিং তৈরি করেন, আর রাতে তা পোড়ানো হয়। ব্যাপক চাহিদা থাকায় খোলা থেকেই নগদ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রিং। মৌসুম ছাড়াও সারা বছরের জন্য বাড়তি কিছু রিং তৈরি করে রাখেন তারা।