মাগুরানিউজ.কমঃ
সৌদি আরবের খেজুরের বাগান গড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করছেন মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার পুড়াগাছি গ্রামের আলাউদ্দিন হোসেন। দীর্ঘ ৭ বছর পরিচর্যার ফলে খেজুর গাছগুলো এখন খেজুর ধরার উপযোগী হয়ে উঠার পাশাপাশি এর সবুজ রং বাগনটিকে দৃষ্টি নন্দন করে তুলেছে। এ বছর গাছগুলোতে খেজুরের মোচা আসবে এবং খেজুর উৎপাদিত হবে বলে আশা করছেন আলাউদ্দিন।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে স্থানীয় বন বিভাগ থেকে ১ হাজার সৌদি খেজুরের চারা সংগ্রহ করে পরীক্ষা মূলকভাবে আলাউদ্দিন হোসেন নিজের এক একর জমিতে লাগান। সেই সময় থেকেই তিনি নিজের মতো করে গাছের পরিচর্যা করতে থাকেন। এর ফলে কিছু গাছ মারা যায়। এরপর তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে খেজুর গাছের যত্ন নিয়ে এক বিশাল বাগান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার বাগানে সাড়ে ৮শ’র মত খেজুর গাছ রয়েছে।
আলাউদ্দিন হোসেন জানান, মানুষের ইচ্ছা ও পরিশ্রমই বদলে দিতে পারে তার ভাগ্য। সেই উদ্যম নিয়েই নিরলসভাবে পরিশ্রম করে আমি এই খেজুর বাগান গড়ে তুলেছি। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন।আর আমাকে তথ্য ও উৎসাহ দিয়ে সবসময় সহযোগীতা করছেন মাগুরা নিউজ পত্রিকার সম্পাদক রাজীব মিত্র।
আমার এখন একটিই আশা সৌদি খেজুর নামে খ্যাত গাছগুলোতে খেজুর ধরা। আর একবার যদি সুষ্ঠুভাবে খেজুর ধরা শুরু হয় তাহলে সার্থক হবে আমার পরিশ্রম, আর দূর করা সম্ভব হবে আমার আর্থিক দৈন্যতা।
তিনি আরো জানান, খেজুর গাছের সাইজের গাছ ও রং সবুজ হওয়ায় জন্য দৃষ্টি নন্দন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি খেজুর গাছে এ বছর গাছে মোচা আসবে ও গাছে ফল ধরবে এবং এখান থেকে কাঙ্খিত ভালো ফলন পাবেন তিনি।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সৌদী খেজুর সাধারণত মরু এলাকায় ভালো হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এর ফলন ভালো হওয়া বেশ দূরহ। তবে আমাদের দেশে উঁচু শুস্ক জমিতে বিশেষ করে বেলে দোঁআশ মাটিতে এ জাতের চারা লাগালে ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। শালিখায় পোড়া গাছি গ্রামে আলাউদ্দিন হোসেনের লাগানো খেজুর বাগানের জমিটি খেজুর হওয়ার উপযোগী। এখানে খেজুরের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
শালিখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ২০০৭ সালে স্থানীয় বন বিভাগ থেকে চারা সংগ্রহ করে পরীক্ষামুলক ভাবে আলাউদ্দিন তার এক একর জমিতে তা লাগিয়েছেন। দীর্ঘদিন পরিচর্যার ফলে বাগানের প্রতিটি চারা এখন গাছে পরিণত হয়েছে। এ ক্ষেতটিতে খেজুর ধরা শুরু হলেই এ এলাকায় ব্যাপকভাবে সৌদি খেজুর চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি।