মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুরে বিভিন্ন বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ক্ষতিকর জেলি ভর্তি চিংড়ি মাছ। ওজন বাড়ানোর জন্য অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা এ পথ অবলম্বন করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করছে। এ মাছ খেয়ে হুমকির মুখে পড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য। জেলি মিস্ত্রিত এসব চিংড়ি মাছ খেলে কিডনি, লিভারসহ নানাবিধ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চিংড়ি মাছ খেতে কে না চায়? আর তা যদি হয় গলদা-বাগদা বড় চিংড়ি তাহলে আর কোনো কোথায় থাকে না। আর এ সুস্বাদু চিংড়ির নামে আমরা কি খাচ্ছি। বাজার থেকে চিংড়ি কিনে এনে রান্নার জন্য তৈরি করতে গেলে দেখা যাচ্ছে কান ও লেজ ও ঘাড়ের মধ্য থেকে এক ধরনের সাদা জেলির মতো বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে আসছে। আর তা আমরা কিনে খাচ্ছি।
বিষাক্ত জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ বিক্রির সময় শ্রীপুরে গনেশ নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে ধরে স্থায়ীরা। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই মাছ ব্যবসায়ীর কাছ স্থানীয় এক যুবক ২ কেজি বাগদা চিংড়ি মাছ কিনে নিয়ে যাই। পরে বাড়িতে গিয়ে মাছের ভিতর জেলি ও রক্ত দেখতে পাই। পরে মাছগুলো ফেরত দেই ওই ব্যবসায়ীকে।
প্রতারিত হওয়া শাহরিয়ার হোসেন সাব্বির নামের ওই যুবক জানান, আমি উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিন্দি গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী গনেশের কাছ থেকে ২ কেজি বাগদা চিংড়ি মাছ কিনি। ১২’শ টাকার দাম চাইলে আমাকে ১ হাজার ৫০ টাকায় মাছগুলো দেই। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে মাছ কাটতেই মাছের ভেতর জেলি ও রক্ত দেখি। এক একটা মাছের ভিতর প্রায় ২’শ গ্রাম করে জেলি আছে। এর আগেও তার কাছ থেকে চিংড়ি মাছ কিনে প্রতারিত হয়েছিলাম।
মাছ ব্যবসায়ী গনেশ বলেন, আমি আড়ৎ থেকে মাছ কিনে এনে বিক্রি করি। এরপর থেকে এমন মাছ আর কোনদিনও বিক্রি করবো না।
শ্রীপুর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মীর লিয়াকত হোসেন বলেন, মাছের ভিতর বিষাক্ত জেলি ঢাকানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে সকল ব্যবসায়ী এ কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।