মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুরে হামলায় কলেজ ছাত্র মান্নান মোল্লা (১৯) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। গত ২ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিলনাথুর ভাজনের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। মাতব্বরদের মিমাংসের আশ্বাসে হামলার এতদিন পেরিয়ে গেলেও ভূক্তভোগী পরিবারের কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি। আহত মান্নান উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের বিলনাথুর গ্রামের ভ্যান চালক হালিম মোল্লার ছেলে। সে উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ আদিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র। আহত কলেজ ছাত্র বর্তমানে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত মান্নান বলেন, ২ জুলাই সন্ধ্যায় আলিফ আমাকে ফোন করে ভাজনের দোকানে আসতে বলে। আমি দোকানে আসলে তোফাজ্জেল, কাদের, জাকির ও সুরত আলীর নেতৃত্বে রুবেল মন্ডল, ফারুক মন্ডল, আলিফ মন্ডল, আল-আমিন, মিলন, রিপন, সজীবসহ ২০-২৫ আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তাদের হাতে থাকা হাতুড়ি, লোহার রড, বাঁশ দিয়ে আমাকে আঘাত করে। তারা আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। সৌভাগ্যক্রমে কোপটি আমার গায়ে লাগেনি। পরে আমার চিৎকার চেঁচামেচিতে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে ওরা আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়।
আহত মান্নানের বাবা হালিম মোল্লা বলেন, আমার ছেলে কলেজে পড়ে আমি একজন ভ্যান চালক। ওই দিন স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছেলেকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে বিভিন্ন মানুষের হুমকিতে ভয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসি। বাড়ি আসার পর অবস্থার অবনতি হলে আবার ছেলেকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তোফাজ্জেল ও কাদের বলেন, ওই দিন মারামারির ঘটনা ঘটেছে সত্য। কিন্তু আমরা সেখানে ছিলাম না। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। তাছাড়া যারা মেরেছে আর যে মার খেয়েছিলো সবাই আমাদের সামাজিক দলে ছিলো। কাল আমাদের দল থেকে তারা আমাদের বিরোধী দলে গিয়ে এখন মামলা করার পায়তারা করছে।
শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।