মাগুরানিউজ.কমঃ বিশেষ প্রতিবেদক –
সৌদি আরবে পাঠানোর নামে এক গৃহবধূকে (২২) ঢাকায় নিয়ে একটি বাড়িতে আটকে রেখে গণধর্ষণের আভিযোগে মাগুরা সদর থানায় মামলা হয়েছে। পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই গৃহবধূ। মামলার পর শুক্রবার সকালে মামলার প্রধান আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নজরুল সদর উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, আটক নজরুলসহ একই উপজেলার ভিটাসাইর গ্রামের মোকাদ্দেস (৫৫) ও সিংহডাঙা গ্রামের আরজু শেখ (৪৫) নামে দু’জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। তারা সবাই মাগুরা পাসপোর্ট কার্যালয়ের দালাল বলে জানা গেছে। বাকি দুই আসামি অজ্ঞাতনামা।
ওই গৃহবধুর অভিযোগ, একসময় তাঁর মা সৌদি আরবে থাকতেন। এ কারণে তিনিও সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। নজরুল ইসলামকে তিনি আগে থেকে চিনতেন। গৃহবধূর সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা শুনে প্রশিক্ষণের কথা বলে গত ১৩ আগস্ট তাঁকে ঢাকার দারুস সালাম এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন নজরুল। ওই বাসায় আটকে রেখে প্রায় এক মাস ধর্ষণ করেন আসামিরা। ১২ সেপ্টেম্বর কৌশলে ওই বাসা থেকে পালিয়ে মাগুরায় আসেন তিনি।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম প্রথম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপর আছে।