পদ্মাপাড়ে প্রায় ১৬ কোটি। গঙ্গাপাড়ে ১০ কোটি। প্রায় ২৬ কোটির একজন প্রতিনিধি এবার আইপিএল জিতেছেন। তিনি ‘বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান’। কলকাতার ইডেন গার্ডেনেও তাকে ‘কাপ্তানে’র ভূমিকায় দেখা গেল। সংবর্ধনার নেতৃত্ব দিলেন
বাঙালি সাহেব। মমতারাও একটু ‘অহমিকা’ দেখাতে পারলেন-অনন্ত একজন বাঙালি যোদ্ধা আছেন বলে। তাও যেনতেন ভাবে নয়। ‘সেইরকম ভাবে’ই ছিলেন তিনি। এবার কলকাতা টিমের অলিখিত ম্যান অব দ্যা সিরিজও যে সাকিব। কলকাতা জিতেছে। সাকিব পেরেছেন। তাতে বাংলাদেশের লাভ কী? আবেগের যায়গা হয়তো লাভের খাতায় সবার আগে আসবে। সেটুকু বাদ দিলেও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য এ এক বড় অনুপ্রেরণা। সাকিব এমন একটা সময়ে আইপিএল খেলতে যান, যখন বাংলাদেশ দলের অবস্থা লেজেগোবরে। মাঠ আর মাঠের বাইরের নানা ঘটনা নিয়ে অস্থির ছিল ক্রীড়াঙ্গন। সাকিব নিজেও ছিলেন বিতর্কের মসলা।
সেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে নাসির-মুশফিকদের মাঠের চেহারা দেখলে বড় মায়া হয়। হারতে হারতে ক্লান্তি তাদের পেয়ে বসেছে। এবার আইপিএলে সাকিবের এমন সাফল্যে হয়তো প্রেরণার রসদ খুঁজতে পারবেন তারা।
আর্জেন্টিনায় যেমন মেসি আছেন, পর্তুগালের যেমন রোনালদো আছেন, ঠিক তেমনি বাংলাদেশও ভাবতে পারে তাদের সাকিব আছে।
দিনশেষে মাঠ ছেড়ে যখন বিছানায় যান, তখন সাকিবও টের পান তাকে ঘিরে কতশত বাঙালির স্বপ্ন ডানা মেলে আকাশে ওড়ে। কোটি প্রাণের আশা তাকে নিয়ে এদেশের ক্রিকেটে যায়গা পাবে আরো কাব্যগাঁথা। তার অনুজরাও তার মতো হতে চাইবে। হবে। এমনভাবে কেটে যাবে হাজার বছর। হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত ধ্বনিত হবে সেই সুর, ‘বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ, সাকিব আল হাসান।