মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “এ লক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ, র্যাব, বিজিপি এবং কোস্টগার্ড নিরলসভাবে কাজ করছে। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা পাচার রোধকল্পে গত ২৭-১০-২০১৩ তারিখে টেকনাফ উপজেলায় নয়জন জনবল সম্বলিত একুট নতুন অস্থায়ী সার্কেল অফিস স্থাপন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে ইয়াবা পাচারবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে।”
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয়(বাজেট) অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন-উত্তর পর্বে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম মাইদুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমনন্ত্রী সীমান্ত এলাকায় মাদকদব্য রোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের তথ্য সংসদের সামনে তুলে ধরেন।
ঢাকা ১৫ আসনের সংসদ সদস্য কামাল আহেমেদ মজুমদারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ নেত্রত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমায় আসার পর বিদ্যুৎ খাতের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই পরিকল্পনার আওতায় বর্তমান সরকার মে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দশ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট এর মাইলফলক অর্জন করেছে।”
বর্তমান সরকারের গৃহীত পরিকল্পনাসমূহের সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী ২০২১ সাল নাগাদ সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “দেশে বর্তমানে ধানের ফলন ভালো হওয়ায় সরকারিভাবে চাল আমদানির কানো প্রয়োজন নেই। এ মুহূর্তে সরকারি ভাণ্ডারে খাদ্যশস্যের মজুদ পরিমাণ দশ লাখ সাত হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন। এ মজুদের পরিমাণ সন্তোষজনক। এছাড়া আগামী ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ১৪ লাখ মেট্রিক টন চাল ও এ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম অভ্যান্তরিণ উৎস হতে এবং দুই লাখ মেট্রিন টন চাল ও নয় লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি সূত্রে সংগ্রহ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”