মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুরে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। ফলে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে বিক্রেতাদের আক্ষেপ আগের মতো বিক্রি নেই। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে বাড়ছে কাচা মরিচ ও ডিমের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডাবল সেঞ্চুরি করেছে কাচা মরিচ। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৪০ টাকায়। পাশাপাশি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দামও। প্রথমবারের মতো ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম রেকর্ড মূল্যে ১৪৫-১৫০ টাকায় উঠেছে। অর্থ্যাৎ প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ কাচা মরিচের কেজি বিক্রি করছেন ২০০-২৪০ টাকা। যেখানে গত সপ্তাহে কাচা মরিচের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, সেখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেটি কেজি প্রতি প্রায় ৮০ টাকা বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা।
এ বিষয়ে উপজেলার খামারপাড়া বাজারের কাচামাল ব্যবসায়ী ফিরোজ মোল্লা বলেন, পাইকারি দাম বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই কাচা মরিচের দাম বাড়ছে। আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। নিরুপায় হয়েই দাম বাড়িয়েছি।
অন্যদিকে বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আর মুদি দোকানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৪ টাকা দরে। যেখানে মাত্র এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ছিল ১২০ টাকা। যার প্রতি হালি বিক্রি হতো ৪০ টাকায়।
ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কাজলি বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. সেলিম মোল্লা বলেন, গত কয়েকদিনে তেলের দাম বেড়েছে। মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বেশি তাই স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারে ও দাম বেশি।তবে আরো দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাচা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন দ্রব্যের দাম লাগামহীন। সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের উপার্জন বাড়েনি। আমরা আছি বড় বিপদে।
উপজেলার বাজারগুলোতে ছোট মাছ নেই বললেই চলে। আবার বড় মাছের দাম অনেক বেশি। ইলিশের ভরা মৌসুমেও দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রায় প্রতিটি সবজি ৫০ টাকার নিচে পাওয়ায় যাচ্ছে না।